সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

কেউ প্রভাব খাটাতে চাইলে শাস্তির আওতায় : সিইসি

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনে যদি কেউ প্রভাব খাটাতে চায়, তাহলে সে যে-ই হোক শাস্তির আওতায় আনা হবে। ভোট কেন্দ্রে কারচুপি বা অনিয়মের ঘটনা ঘটলে ওই কেন্দ্র তাৎক্ষণিক বন্ধ করে দেওয়া হবে। এখন কিছু অভিযোগ থাকলেও প্রচারণা ও ভোটের পরিবেশ স্বাভাবিক। তিনি বলেন, ভোট এক জায়গায় দিলে আরেক জায়গায় চলে যাবে এটার কোনো সুযোগ নেই। এগুলো ভ্রান্ত প্রচারণা। ভোটের দিন একটি মাত্র          কেন্দ্রে কারচুপি হলেও ভোট গ্রহণ বন্ধ করা হবে।গতকাল দুপুরে ময়মনসিংহের টাউন হল অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোনার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটের আগের ১৫ দিন কী হলো না হলো তা কিছুদিন পর মানুষ ভুলে যাবে। কিন্তু ভোটের দিন রেজাল্ট কী হলো, পোলিংয়ের মধ্যে কারচুপি হলো কি না, জবরদস্তি সিল মারা হলো কি না- এরকম কোনো ঘটনা যদি ঘটে থাকে তাহলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা কম। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে আনসার, পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনীসহ ১৫-১৬ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কেন্দ্রের বাহিরের ভারসাম্য রক্ষা করবেন। কিন্তু কেন্দ্রের ভিতরের ভারসাম্য রক্ষা করতে ব্যর্থ হলে রিটার্নিং অফিসারকে দায়দায়িত্ব নিতে হবে। তখন প্রিসাইডিং অফিসারকে সঙ্গে সঙ্গে ভোট বন্ধ করে দিতে হবে। ওই কেন্দ্রের ভোট প্রয়োজনে ১০-১২ বার নিতে হবে। তিনি বলেন, ওসি, এসপি, ডিআইজি, আইজি যে কেন্দ্রেই যাক না কেন ভোটের দিন খেলাটা হবে প্রার্থীদের মাঝে। যদি কেউ প্রভাব খাটাতে চায়, সে যে-ই হোক, তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।] বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, রেঞ্জ ডিআইজি শাহ আবিদ হোসেন, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞাসহ ছয় জেলার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে তিনি নগরীর ভাষা শহীদ আবদুল জব্বার মিলনায়তনে জেলার সব সংসদীয় আসনে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

সর্বশেষ খবর