সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার রায় ১ জানুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার রায় ১ জানুয়ারি

গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলার রায়ের জন্য ১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ মামলায় উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গতকাল রাত সোয়া ৮টার দিকে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন। মামলার অন্য তিন বিবাদী হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

গতকাল দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। দুপুরে ৩০ মিনিটের বিরতি দিয়ে শুনানি চলে মাগরিবের নামাজ পর্যন্ত। মাগরিবের নামাজ শেষে ফের শুনানি শুরু হয়। ইউনূসের পক্ষে সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটের দিকে তাঁর আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন। তিনি এ মামলা থেকে ইউনূসসহ বিবাদীদের খালাস চান। এরপর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানি করেন। তিনি ইউনূসের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এরপর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের আরেক আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন। এ সময় ড. ইউনূস এজেলাসে উপস্থিত ছিলেন। গত ২২ আগস্ট এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে গত ৮ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য রাখেন তারা। এরপর থেকে মামলাটিতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। গত ৮ মে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

 এরপর ৬ জুন আদালত তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

সর্বশেষ খবর