সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগের দুই এমপির বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আওয়ামী লীগের দুই এমপি ও বর্তমান প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তারা হলেন চট্টগ্রাম-১৬ আসনের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও ঝিনাইদহ-১ আসনের আবদুল হাই।

গতকাল মামলা করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। 

৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় প্রশ্ন করায় ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের প্রতিবেদককে মারধর করেন চট্টগ্রাম-১৬ আসনে নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। এ অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

এদিকে সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আবদুল হাই এর বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা শৈলকুপা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, শৈলকুপা থানাধীন ১৪ নম্বর দুধসর ইউনিয়নের ভাটই বাজারে সাপ্তাহিক হাটবারের দিনে বিকাল অনুমানিক ৪টার দিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুল হাই এর অনুসারীরা দেশি অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে মহাসড়কে মহড়া দেন ও জনগণের মনে ভীতি সঞ্চার করায় নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে মো. আবদুল হাই সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৮(ক), ১১(ক) ও বিধি ১২-এর লঙ্ঘন করেছেন। বিধি লঙ্ঘন করায় অভিযুক্ত প্রার্থী ও অনুসারীদের বিরুদ্ধে বিচারকি হাকিম আদালতে (জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে) নিয়মিত অভিযোগ দায়েরের নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন। এদিকে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে প্রচার-প্রচারণাকালে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থক কর্তৃক ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওপর হামলা ও নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণায় বাধা প্রদানের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যানসহ পাঁচজন এবং এজাহারনামীয় ২২ জনসহ অজ্ঞাতনামা ১০০-১২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ভোটের প্রচারে নামার পর থেকে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া, মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। শনিবার নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, কয়েকটি এলাকায় সংঘর্ষের তদন্ত প্রতিবেদনের দাখিলের পর প্রার্থিতা বাতিলের মতো কঠোর সিদ্ধান্তও আসতে পারে। এদিকে গতকাল নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, এখনো আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কারও প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়নি। বিএনপি যদি ভোটে আসত নাশকতার ঘটনা হতো না, পরিবেশ থাকত স্বাভাবিক।

সর্বশেষ খবর