মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
এম সাখাওয়াত হোসেন

সহিংসতা বন্ধে প্রয়োজনে প্রার্থিতা বাতিল করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

সহিংসতা বন্ধে প্রয়োজনে প্রার্থিতা বাতিল করতে হবে

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, নির্বাচন কমিশন থেকে শুধু নোটিস বা মামলা করে নির্বাচনি সহিংসতা বন্ধ করা যাবে না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রার্থিতা বাতিল করতে হবে। নির্বাচন কমিশন যদি কঠোর ব্যবস্থা না নেয় তাহলে চলমান এ সহিংসতা আরও বাড়তে থাকবে। আসন্ন নির্বাচনে চলমান সহিংসতা বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি এসব কথা বলেন।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, যেহেতু নির্বাচন কমিশন নোটিস ও মামলা ছাড়া শক্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সে কারণে এমনই হবে এটা স্বাভাবিক। সরকারি দলের মধ্যে কোন্দল শুরু হয়ে গেছে। এ নির্বাচনে এটাই দলের প্রাপ্তি। তিনি বলেন, আমি তিন-চার জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার মতো পরিস্থিতি দেখছি কিন্তু ইসি এখনো সে ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ইসি যদি ভয়ে সে ধরনের কোনো পদক্ষেপ বা উদ্যোগ না নেয় তাহলে এমন ঘটনা বাড়তে থাকবে। সহিংসতার নানা ঘটনা সমাজমাধ্যম ইউটিউবে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। আমাদের গণমাধ্যমগুলো সেভাবে দেখাচ্ছে না বা দেখাতে পারছে না কিন্তু সমাজমাধ্যমে তো আর আটকানো যাচ্ছে না। সহিংসতা কীভাবে হচ্ছে সবাই দেখতে পাচ্ছে।

ইসির যে ক্ষমতা আছে তার পুরোপুরি বাস্তবায়ন করছে না উল্লেখ করে সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়েছে ১৮ তারিখ। দুই সপ্তাহে হতে যাচ্ছে। এখনো যদি নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ না করে আর কবে করবে? তিনি বলেন, ফরিদপুরের ভাঙ্গায় প্রার্থীদের মধ্যে নিয়মিত কথার ঝগড়া চলছে, মাদারীপুরে সহিংসতায় মারা যাওয়ার খবরও এসেছে। এ নির্বাচনে তো ওইভাবে প্রতিপক্ষ নেই, মারা যাওয়ার কথা নয়। শোকজ করে এসব বন্ধ করা যায় না। সেই অর্থে শোকজ কিছুই না। এটা শুধুই নামেই।

সামনের পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সামনে আমার মনে হয় সহিংসতা আরও বাড়বে। এবারের নির্বাচনে যারা নৌকা, ট্রাক বা ঈগল অর্থাৎ স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন সবার মধ্যে একটা শঙ্কা কাজ করছে। সেই শঙ্কাটা হলো এটাই শেষ চান্স। পাঁচ বছর পর আর কোনো সুযোগ পাওয়া যাবে না। অনেক এমপির জন্য এবারই শেষ নির্বাচন। পাঁচ বছর পর কে কোথায় থাকে, কী হয় না হয় নানা হিসাবনিকাশে এবার সবাই মরণকামড় দেবে। সে কারণে নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসবে সহিংসতা মনে হয় আরও বাড়বে। যদি সহিংসতা না হয়, সেটা তো ভালো বিষয়। আমরা সেটাই প্রত্যাশা করি। তবে বর্তমান পরিস্থিতি দেখেই বিবেচনায় রাখতে হবে যে সহিংসতা বাড়তে পারে। সুতরাং মূলত ইসিকেই শক্ত ভূমিকা নিতে হবে। আমাদের সময়ও অনেক মামলা করেছি কিন্তু এসব মামলা করে পরে সাক্ষী পাওয়া যায় না। সাক্ষী পাওয়া না গেলে মামলা নিষ্পত্তি হয়ে যায়।

সর্বশেষ খবর