বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিএনপি লগি-বৈঠার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না : মঈন খান

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি লগি-বৈঠার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না : মঈন খান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে যাত্রাপালা চলছে। আজ নির্বাচনের নামে প্রকাশ্যে গরুর হাটের মতো প্রার্থী কেনাবেচা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত লজ্জার। বিশ্বের কোথাও বাহাদুরি করে এভাবে আসন কেনাবেচা ও ভাগাভাগি হয়, কখনো দেখিনি। আর নির্বাচন কমিশন যাত্রাপার্টির ভূমিকা পালন করছে। প্রহসনের নামে নির্বাচন নাটক-যাত্রাপালা করে কেউ কোনো দিন ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে পারবে না।

গতকাল দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবি’তে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট। আয়োজক সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক ও এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এনপিপি মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা। এতে জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, গণদলের চেয়ারম্যান এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী, মহাসচিব আবু সৈয়দ, বিকল্পধারার (একাংশ) চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, মহাসচিব অ্যাডভোকেট শাহ আলম বাদল, সাম্যবাদী দলের চেয়ারম্যান ডা. সৈয়দ নুরুল ইসলাম, এনডিপি চেয়ারম্যান কারি আবু তাহের, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান শাওন সাদেকী প্রমুখ বক্তব্য দেন। ড. মঈন খান বলেন, সরকার আজ নির্বাচনের খেলায় নৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছে। তারা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ১০ শতাংশ ভোটও পাবে না। এজন্য নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে ভয় পায়। সরকার হুমকিধমকি দিয়ে সাহস সঞ্চার করতে চাইছে। কারণ তারা ভিতরে ভিতরে ভয়ে আছে। জনগণের প্রতি নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে মঈন খান বলেন, আপনারা কেউ ৭ জানুয়ারি কেন্দ্রে যাবেন না। পাতানো নির্বাচন ইতোমধ্যে জনগণ বর্জন করেছে। কারণ ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের ফলাফল আগেই তৈরি করা হয়েছে। কে কত ভোট পাবে, কত পার্সেন্ট ভোট পড়বে তা তৈরি আছে। কম্পিউটার টিপ দিলেই জেলায় জেলায় চলে যাবে এবং নির্বাচন কমিশনও সেই ফলাফল প্রকাশ করবে। তাই নির্বাচন বর্জনের পাশাপাশি এ সরকারকে সব ধরনের অসহযোগিতা করতে হবে। বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা রাজতন্ত্রে বিশ্বাস করে। তারা রাজতন্ত্র কায়েম করতে চায়। এর মাধ্যমে সরকার চিরস্থায়ী ক্ষমতা বন্দোবস্ত করতে চায়। তিনি বলেন, বিএনপিসহ ৫৯টি বিরোধী রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তারা দেশে গণতন্ত্র, মানুষের ভোটের অধিকার, মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেজন্য রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। আমরা বাকশাল করি না। লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা করে সরকারের পতন ঘটাতে হবে, এমন কথায় বিশ্বাস করি না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত গণতান্ত্রিক ধারায় আন্দোলন চলবে।

সর্বশেষ খবর