বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাহারকে ১ লাখ শম্ভুর ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে কুমিল্লা-৬ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে ১ লাখ এবং বরগুনা-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাঁরা দুজনই বর্তমান সংসদ সদস্য। একের পর এক নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে কেন প্রার্থিতা বাতিল হবে না, সে প্রশ্নে শুনানি নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীকে জরিমানা করেছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল বিকালে নির্বাচন ভবনে শুনানি শেষে এ সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।

কমিশনের সিদ্ধান্ত জানিয়ে অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ  সাংবাদিকদের বলেন, ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জরিমানার অর্থ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তিন দিনের মধ্যে পাঠাতে হবে এবং তা কমিশনকে অবহিত করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। গত সোমবার এই দুই প্রার্থীকে চিঠি পাঠিয়ে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে হাজির হতে বলা হয়। প্রার্থিতা কেন বাতিল করা হবে না, সে বিষয়ে ব্যাখ্যাও চাওয়া হয় তাদের কাছে। বলা হয়, গতকাল তারা যেন সশরীরে উপস্থিত থাকেন। শুনানির সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ছাড়াও নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, আনিছুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। দুই প্রার্থীকে তলবের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা তৈরি হয় অন্য একটি কারণে। এর দুই দিন আগে শনিবার কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচনবিধি ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে প্রার্থিতা বাতিলের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। সেদিন বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেছিলেন, প্রার্থিতা বাতিল হবে, কোনো না কোনো জায়গায় কারো না কারো, এইটুকু আভাস আমি দিয়ে রাখলাম।

কার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ : আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, গত ২০ ডিসেম্বর নির্বাচনি প্রচারণার সময় তিনি সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। বাহারের উসকানিমূলক নির্দেশনায় তার ব্যক্তিগত সহকারীসহ নেতা-কর্মীরা দুই সাংবাদিককে মারধর করেন। এ ছাড়া সংবাদকর্মীদের মোবাইল ফোন এবং লাইভ কাভারেজের ডিভাইসও ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে ইসির নির্দেশে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপার আলাদা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। যাতে ঘটনার সত্যতা পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। বাহার নির্বাচনি অপরাধ ও আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে উল্লেখ করে এ প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সুপারিশসহ ইসিতে প্রতিবেদন পাঠায় সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি। এদিকে, ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ১৮ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটের প্রচার শুরুর আগেই তিনি প্রচারণায় নামেন। গত ২৮ নভেম্বর, ৭ ডিসেম্বর ও ৯ ডিসেম্বর শম্ভু সহস্রাধিক সমর্থক নিয়ে মোটর শোভাযাত্রাসহ মিছিল ও সভা করেছেন। তার বিরুদ্ধে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি ইতিমধ্যে চারটি প্রতিবেদন দিয়েছে। কমিটি একাধিকবার সতর্ক করার পরও শম্ভু ‘নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম’ করে যাচ্ছেন বলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

সর্বশেষ খবর