বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

তিন ফরম্যাটেই নিউজিল্যান্ড জয় টাইগারদের

আসিফ ইকবাল

প্রথমে সাদা পোশাকের টেস্ট। এরপর রঙিন পোশাক ও সাদা বলে ওয়ানডে। সর্বশেষ সাদা বল ও রঙিন পোশাকে টি-২০। তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই নিউজিল্যান্ড জয় করেছে বাংলাদেশ। টেস্টে জিতলেও এতদিন ওয়ানডে ও টি-২০ ফরম্যাটে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের হারানোর উচ্ছ্বাস অধরাই ছিল। গতকাল নেলসনের ম্যাকক্লিন পার্কে দুরন্ত জয়ে তিন ফরম্যাটে নিউজিল্যান্ডকে হারানোর পূর্ণতা পেল। শনিবার নেপিয়ারে ওয়ানডেতে জয়ের বন্ধ্যাত্ব ঘুচেছিল। এবার একই ভেন্যু নেলসনে ২০ ওভারের ম্যাচে জয়ের উচ্ছ্বাসে মেতে উঠল বাংলাদেশ। তাসমান সাগরপাড়ের দেশ নিউজিল্যান্ড এখন আর অপরাজেয় রইল না। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের সব কয়টি দুর্গে লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়েছেন নাজমুল শান্তরা। দুরন্ত ক্রিকেট খেলে ৮ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের আরাধ্য জয় তুলে নিয়েছে শান্ত বাহিনী। এখন স্বপ্ন দেখছে তাসমান সাগরপাড়ের দেশটির মাটিতে প্রথমবারের মতো টি-২০ সিরিজ জয়ের। সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ ২৯ ও ৩১ ডিসেম্বর মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টানা ১১ টি-২০ ম্যাচ হারের পর জিতল বাংলাদেশ। কিউইদের বিপক্ষে জিতল টানা ৯ টি-২০ হারের পর। পাঁচ দিন আগে নেপিয়ারে চোখধাঁধানো পারফরম্যান্স করেছে শান্ত বাহিনী। স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে ৯৮ রানে গুটিয়ে টাইগাররা জয় পায় ৮ উইকেটে। অসাধারণ বোলিং করেছিলেন চার টাইগার পেসার। ওয়ানডে স্কোয়াডের অনেকেই নেই টি-২০ স্কোয়াডে। বয়সে সবাই তরুণ এবং লড়াকু মেজাজের। গতকাল ম্যাকক্লিন পার্কের ধীরলয়ের উইকেটে লড়াকু ক্রিকেট খেলেছেন নাজমুল, মেহেদি হাসান, লিটন দাস, শরিফুল ইসলামরা। ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং- তিন বিভাগেই মিচেল স্যান্টনারের নিউজিল্যান্ডকে বিধ্বস্ত করেছেন নাজমুলরা। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৪ রান করে ব্ল্যাক ক্যাপসরা। শেখ মেহেদি ও শরিফুলের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ২০ রানে ৪ উইকেট ও ৫০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। সেখান থেকে জিমি নিশাম ও অধিনায়ক স্যান্টানার ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৪১ রান যোগ করে দলকে পথে টেনে তোলেন। নিশাম ৪৮ রান করেন ২৯ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায়। স্যান্টানার ২৩ রান করেন ২২ বলে ২ চারে। মার্ক চ্যাপমান ১৯ বলে ১৯ রান করেন। টাইগার বোলারদের মধ্যে শরিফুল ৩ উইকেট নেন ২৬ রানের খরচে। ম্যাচসেরা মেহেদি ১৪ রানের খরচে নেন ২ উইকেট। এ ছাড়া মুস্তাফিজুর রহমানও ২ উইকেট নেন। লেগ স্পিনার রিশাদ ১ উইকেট নেন। টার্গেট ১৩৫ রান। ওভারপ্রতি ৭ রানের কাছাকাছি। ১.৪ ওভারে দলীয় ১৩ রানে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার রনি তালুকদার। রনি ১০ রানের ইনিংস খেলেন ১ ছক্কায়। অধিনায়ক নাজমুল ১৯ রানের ইনিংস খেলেন ১৪ বলে ৪ চারে। ওপেনার লিটন শুরু থেকে প্রত্যয়ী ব্যাটিং করে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। ৪২ রানের ম্যাচ জেতানো অপরাজিত ইনিংস খেলেন ৩৬ বলে ২ চার ও এক ছক্কায়। ওয়ানডেতে ওপেন করা সৌম্য সরকার চার নম্বরে ব্যাট করে রান করেছেন ২২। ১৫ বলের ইনিংসটিতে ছিল ২টি চার ও একটি ছক্কায়। শেষ দিকে মেহেদি হাসান ১৬ বলে ১ চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত ১৯ রানের ইনিংস খেলেন। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে লিটন-মেহেদি ৪০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন ২৫ বলে।

সর্বশেষ খবর