শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভোট পড়তে পারে সর্বোচ্চ ৩৫-৪০ শতাংশ

----- এম সাখাওয়াত হোসেন

ভোট পড়তে পারে সর্বোচ্চ ৩৫-৪০ শতাংশ

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ৭ জানুয়ারি ভোটারদের মনে যদি আকস্মিক কোনো পরিবর্তন না হয়, তাহলে ৩৫-৪০ ভাগের বেশি ভোট পড়বে বলে মনে হচ্ছে না। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কেমন হতে পারে- এমন প্রশ্নে গতকাল তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ কথা বলেন।

সাবেক এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, আওয়ামী লীগের সমর্থন ৪০ ভাগও যদি হয়, তার শতভাগ কখনো ভোট দিতে আসে না। ৩০ শতাংশ সব সময় থাকে নিরপেক্ষ ভোট। বাকি ভোটারদের মধ্যে শুধু বিএনপির মতো বড় দল আসেনি তাই নয়, হাতপাখার ভোটার সংখ্যাও বেড়েছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তারা সব জায়গায় দ্বিতীয় অবস্থানে এসেছে। আরও কিছু ছোট দল নির্বাচনে নেই, যাদের ভোট আছে। যারা অংশগ্রহণ করছে তাদের কার কত ভোট আছে তা জানা নেই। জাতীয় পার্টির ভোট কমছে। ২০০৮ সালে ১৪-১৫ ভাগ ভোট ছিল। সেটা কমতে কমতে ৬-৭ শতাংশে নেমেছিল। তাদের দলে ভাঙন ধরেছে। এখন ভোট কেমন আছে বলতে পারব না। এ অবস্থায় আমি মনে করি, ৩০-৩৫ ভাগ ভোট পড়বে। তবে এখন যেভাবে ভোটারদের আনার চেষ্টা করা হচ্ছে, তাতে হয়তো কিছু বাড়বে। তবে বাংলাদেশে যে স্ট্যান্ডার্ড আছে, সেখানে পৌঁছাবে বলে মনে হয় না। ৩৫-৪০ ভাগ হতে পারে। এখানে সবাই অংশ নিলে স্ট্যান্ডার্ড ভোট পড়ে গড়ে ৫৫-৬০ শতাংশ হয়। ২০০৮ সালে শুধু বেশি হয়েছিল। কারণ, নির্বাচনটা হয়েছিল ছয় বছর পরে। ছবিসহ নতুন ভোটার তালিকা হয়েছিল। তাই মানুষের মধ্যে আগ্রহ বেশি ছিল। তবে মানুষের মন। কখন কী হয় বলা যায় না। ভোটের দিন চিত্র বদলে যেতে পারে। এখন আমরা দেখছি টাকা-পয়সা বিতরণ করা হচ্ছে। ভোট দিতে না এলে ভাতা বাতিলের কথা বলা হচ্ছে। গ্রামের গরিব মানুষ কী করবে? তাই কী হবে সেটা ভোটের দিনই বোঝা যাবে। এ ছাড়া ভোট কত সঠিক পড়েছে সেটাও তো বলা মুশকিল। নির্বাচন কমিশন থেকে যে সংখ্যা দিচ্ছে সেটাই তো আমাদের দেখতে হচ্ছে। সেই সংখ্যা নিয়েও তো অনেক প্রশ্ন আছে। যাই হবে, সেটা আমরা সবাই দেখব। আকাশ সংস্কৃতির লোকজন দেখবে। খারাপ কিছু হলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গ্রহণযোগ্যতার কথা উঠবে, যেটা ২০১৪ ও ২০১৮ সালে উঠেছিল। তবুও দেখা যাক। আমরা চাই দেশ ভালো থাকুক।

সর্বশেষ খবর