বুধবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

রপ্তানি আয় কমে যাওয়া দুশ্চিন্তার

ড. মুস্তাফিজুর রহমান

রপ্তানি আয় কমে যাওয়া দুশ্চিন্তার

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা যেসব দেশে রপ্তানি করি, সেসব দেশের আমদানি চাহিদার সংকোচন হয়েছে। সেই সঙ্গে জুলাই-ডিসেম্বর প্রান্তিকে কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম আয় হয়েছে। ডিসেম্বরের রপ্তানি আয়ের প্রতিবেদনে এরই প্রতিফলন পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে গেলে রপ্তানিকারকরা কিছু সুবিধা পায়। টাকার অবনমনের ফলে ব্যবসায়ীরা সে সুযোগ নিতে পারছে; এর পরও রপ্তানি আয় কমে যাওয়াটা দুশ্চিন্তার। ড. মুস্তাফিজ বলেন, দেশের রপ্তানি খাতের প্রাণভোমরা তৈরি পোশাক খাত। এ খাতে আয় কমে যাওয়াটা শঙ্কার। তবে এক পণ্যে নির্ভরশীল না থেকে নন রেডিমেড বিকল্প পণ্য রপ্তানি বাড়াতে মনোযোগ দিতে হবে।

তিনি বলেন, দেশের ৮৪-৮৫ শতাংশ আয় তৈরি পোশাকেরর ওপর নির্ভরশীল। এ খাতে আয় কমে যাওয়ার কারণ হলো যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের দেশগুলোয় আমদানি চাহিদা সংকোচন। এসব দেশে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও মূল্যস্ফীতির কারণে পোশাকের চাহিদা কমে গেছে। এটা শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই ঘটেছে, তেমন নয়। বরং অন্য রপ্তানিকারক দেশগুলোর ক্ষেত্রেও ঘটেছে। বহির্বিশ্বের পাশাপাশি দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতাও রপ্তানি খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে কি না সে বিষয়টিও গবেষণার দাবি রাখে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, আশার কথা হচ্ছে, পশ্চিমা দেশগুলোয় অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসছে। কমছে মূল্যস্ফীতির পরিমাণও। তা ছাড়া আমদানিকারক অনেক দেশ এখন চীন থেকে সরে আসছে। ফলে যেসব বাজার খালি হচ্ছে, সেগুলো যাতে আমরা ধরতে পারি সেদিকে সরকারকে মনোযোগ দিতে হবে। সিপিডির এই সম্মাননীয় ফেলো জানান, রপ্তানিতে নতুন বাজার ধরার ক্ষেত্রে ৪ শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। তাই গতানুগতিক বাজারের বাইরে গিয়ে নতুন বাজারের অনুসন্ধান জরুরি। বর্তমানে দেশের রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বাড়াতে হলে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স আয়ে সরকারকে জোর দিতে হবে।

সর্বশেষ খবর