বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

আচরণবিধি লঙ্ঘনে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে পরোয়ানা

৫৮৯ জনের নামে নোটিস

নিজস্ব প্রতিবেদক ও ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল হাইসহ তার দুই অনুসারীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গতকাল বিকালে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের বিচারক বৈজয়ন্ত বিশ্বাস এ আদেশ দেন। অন্য দুই আসামি হলেন- শৈলকুপা উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম ও সারুটিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, শৈলকুপা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তাইজুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ২৪ ডিসেম্বর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে    পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেন। ২৬ ডিসেম্বর আদালত মামলা দুটির পরিপ্রেক্ষিতে সমন জারি করে গতকাল সশরীরে শুনানিতে তাদের হাজির হতে বলা হয়।

৫৮৯ জনের বিরুদ্ধে ইসির নোটিস: নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন থামছে না। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক দেখা যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনে আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে অভিযোগের স্তূপ তৈরি হয়েছে। এ পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক আবেদন এসেছে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে। এর মধ্যে দেড় শতাধিক অভিযোগ আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও দলীয় স্বতন্ত্রদের পাল্টপাল্টি অভিযোগও রয়েছে। সব মিলিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ৫৮৯ প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) শোকজের মুখে পড়েছেন। নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি গতকাল পর্যন্ত প্রার্থী ও সমর্থকদের ৫৮৯টি নোটিস পাঠিয়েছে। সবচেয়ে বেশি নোটিস করা হয়েছে ঢাকা অঞ্চলে। ঢাকায় ১৩১টি এবং রাজশাহী অঞ্চলে নোটিসের সংখ্যা ১০৩টি।

আচরণবিধি লঙ্ঘন মামলায় জামিন: নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম জানান, আসন্ন সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী, সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী নির্বাচন কমিশনের দায়ের করা মামলায় আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। গতকাল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের মামলায় হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

জানা যায়, গত ৩০ নভেম্বর মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ব্যাপক শোডাউন করে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তার সঙ্গীদের নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। অধিক লোক সমাগম করে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ করেন মোস্তাফিজ। এ সময় নির্বাচনি আচরণবিধি নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিককে গালিগালাজ এবং কিলঘুষি মারেন। সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকিও দেন তিনি।

এ ঘটনায় ওইদিন ভুক্তভোগী এক সাংবাদিক চট্টগ্রাম জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ জমা দেন। অভিযোগটির তদন্ত করেন চট্টগ্রাম-১৬ আসনের নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম জেলা জজ আবু সালেম মোহাম্মদ নোমান। তিনি ৩ ডিসেম্বর ওই দিনের ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে মোস্তাফিজুরের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনের সুপারিশক্রমে নির্বাচন কমিশন তার বিরুদ্ধে মামলা করে। গতকাল এ মামলার শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

সর্বশেষ খবর