নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে যে মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে, সেটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের সময় বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। ড. ইউনূসের সাজার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জবাবে মিলার বলেন, মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্যমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। এ অবদানের জন্য তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কারসহ অন্য অনেক আন্তর্জাতিক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে রায় হওয়া মামলাটি তাঁরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। রায় নিয়ে ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমালোচনা যুক্তরাষ্ট্রের নজরে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে তাঁরা বাংলাদেশ সরকারকে একটি ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনিপ্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য উৎসাহিত করছেন। তাঁরা যে কোনো পরবর্তী ঘটনা নিবিড়ভাবে অনুসরণ করে যাবেন। আসন্ন নির্বাচন ইস্যুতে এক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, তিনি এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর আগে দিয়েছেন। কিন্তু নতুন বছর হওয়ায় তিনি আবার উত্তর দেবেন। তাঁরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সমর্থন করেন। তাঁরা নিবিড়ভাবে এ নির্বাচনের দিকে নজর রাখবেন। তবে কোনো ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র কী ব্যবস্থা নিতে পারে বা পারে না, সে বিষয়ে তিনি আগে থেকে কিছু বলবেন না। শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের করা এক মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসসহ চারজনকে গত সোমবার (১ জানুয়ারি) ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।