শনিবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ভোটার আনার চ্যালেঞ্জ কাল

কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনি সামগ্রী ও ব্যালট বিতরণ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ৮ লাখ সদস্য প্রস্তুত, নিরাপত্তার দিকে নজর সবার

গোলাম রাব্বানী

ভোটার আনার চ্যালেঞ্জ কাল

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী -বাংলাদেশ প্রতিদিন

আগামীকাল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। নিরপেক্ষ ভোট অনুষ্ঠানে কঠোর অবস্থানে নির্বাচন কমিশন। ভোটের মাঠে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে মোতায়েন থাকছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৮ লাখ সদস্য। কাল ৭ জানুয়ারি রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট চলবে ২৯৯ আসনে। নওগাঁ-২ আসনে একজন প্রার্থী মারা যাওয়ায় সেখানে পরে ভোট হবে।

ভোটের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও দলের প্রচার শেষ হয়েছে গতকাল সকাল ৮টায়। প্রচার শেষে ভোট গ্রহণের জন্য প্রস্তুত প্রার্থী ও ভোটাররা। বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দলের বর্জনসহ বেশ কিছু কারণে এ নির্বাচনে কেন্দ্রে ভোটার টানাই প্রধান চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশ্লেষকরা।

কারচুপি ঠেকাতে এবার অধিকাংশ কেন্দ্রেই ভোটের দিন সকালে ব্যালট পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। কাল ভোটের দিন সকালে ৯২.৯৫ শতাংশ বা ৩৯ হাজার ৬১ কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। আর ২ হাজার ৯৬৪ বা ৭ শতাংশ কেন্দ্রে ব্যালট পেপার যাবে ভোটের আগের দিন আজ। এ ছাড়া গতকাল বেশ কিছু দুর্গম কেন্দ্রে হেলিকপ্টারযোগে নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। এ নির্বাচনে মোট ভোট কেন্দ্র ৪২ হাজার ২৫টি। গতকাল বিকালে গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে ভোট গ্রহণ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। রাতে নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কমিশন গাইবান্ধা-৫ আসনে ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখা সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।

শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য সশস্ত্র বাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম নির্বাচনি মাঠে রয়েছেন। এ ছাড়া ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গতকাল মাঠে নেমেছেন। ভোটের পরদিন পর্যন্ত তারা থাকবেন। নির্বাচনে অনভিপ্রেত পরিস্থিতি এড়াতে ভোট কেন্দ্র, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং ভবনের নিরাপত্তা জোরদার ও নজরদারি বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণে সবকিছু কঠোরভাবে মনিটরিং করছে কমিশন। এজন্য ইসিতে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। নির্বাচনে ২৮ দলের ১ হাজার ৯৭০ প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে থাকছেন। এর মধ্যে দলীয় ৪৩৬ আর স্বতন্ত্র ১ হাজার ৫৩৪ জন। নারী প্রার্থী ৯৩ জন আর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের ৭৯ জন।

ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে ভোট-পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা নির্বাচনি এলাকায় সভাসমাবেশ, মিছিল ও শোভাযাত্রা করা যাবে না। অর্থাৎ ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ৯ জানুয়ারি বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।

ভোটার টানা চ্যালেঞ্জ : সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, অন্যতম বিরোধী দল বিএনপি এবার নির্বাচনে নেই। তাদের জোটসঙ্গীরাও নেই। উপযুক্ত বিকল্প বেছে নেওয়ার সুযোগ না থাকায় স্বাভাবিকভাবে এবারের নির্বাচনে ভোটারের বড় একটা অংশের আগ্রহ নেই। ভোট কেন্দ্রে যেতে চাপ সৃষ্টি না করলে ভোটার উপস্থিতি অনেক কম হবে। সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ৭ জানুয়ারি ভোটারদের মনে যদি আকস্মিক কোনো পরিবর্তন না হয়, তাহলে ৩৫-৪০ ভাগের বেশি ভোট পড়বে বলে মনে হচ্ছে না। বিএনপিসহ ১৬টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে না থাকায় ভোটার উপস্থিতি কম হলেও তা দশম সংসদ নির্বাচনের চেয়ে বেশি হবে বলে মনে করেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ। তাঁর মতে, শক্তিশালী অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকায় ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে অনেক ভোটার অনিচ্ছাসত্ত্বেও কেন্দ্রে যাবেন। ফলে স্বাভাবিক ভোটার উপস্থিতি না হলেও একেবারে কম হবে না। সম্প্রতি তারা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।

ভোটে প্রার্থী এখন ১৯৭০, দল ২৮ : দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১ হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী লড়াইয়ে থাকছেন। এর মধ্যে দলীয় ৪৩৬ আর স্বতন্ত্র ১ হাজার ৫৩৪ জন। নারী প্রার্থী ৯৩ জন আর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের ৭৯ জন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর ১ হাজার ৮৯৫ জনের সঙ্গে আদালতের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া ৭৬ জন যুক্ত এবং নির্বাচন কমিশন একজনের প্রার্থিতা বাতিলের পর এ সংখ্যা চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

বৃহস্পতিবার ইসির অতিরিক্ত সচিব জানান, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ১ হাজার ৮৯৫ জন। এরপর আদালতের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পান ৭৬ জন। আর নির্বাচন কমিশন একজনের প্রার্থিতা বাতিল করে। এখন ৩০০ আসনে ১ হাজার ৯৭০ জন রয়েছেন। এর মধ্যে নওগাঁ-২ আসনের দুই প্রার্থীও রয়েছেন; তবে এ আসনে প্রার্থীর মৃত্যুর পর নতুন তফসিলে ভোটের তারিখ নির্ধারণ হবে ও প্রার্থীও যুক্ত হতে পারে। এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ২৮টি দল।

ভোটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৮ লাখ সদস্য : এবার প্রায় ৮ লাখ সরকারি কর্মকর্তা ভোট গ্রহণ কার্যক্রমে নিয়োজিত থাকবেন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৮ লাখ সদস্য মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া ১ লাখ অতিরিক্ত সরকারি কর্মকর্তা স্ট্যান্ডবাই থাকবেন। আনসার ও ভিডিপি, র‌্যাব, বিজিবি সব মিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৮ লাখ সদস্য মাঠে আছেন। তারা মাঠে থাকবেন ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রায় ৩ হাজার ম্যাজিস্ট্রেট ও জাজেস মাঠে আছেন।

ফায়ার সার্ভিসে ছুটি বাতিল, মনিটরিং সেল গঠন : সংসদ নির্বাচনের সময় অগ্নিনাশকতাসহ যে কোনো দুর্ঘটনার বিষয় বিবেচনায় নিয়ে কেন্দ্রীয় মনিটরিং ও কো-অর্ডিনেশন সেল গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। এক বিজ্ঞপ্তিতে ফায়ার সার্ভিস বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, দেশের সব ফায়ার স্টেশনের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে সবাইকে ‘স্ট্যান্ডবাই ডিউটিতে’ রাখা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ঢাকাসহ দেশের যে কোনো প্রান্তে দুর্ঘটনার তথ্য সংগ্রহ ও সমন্বয় করতে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষের পাশাপাশি বিশেষ সেল হিসেবে কেন্দ্রীয় মনিটরিং ও কো-অর্ডিনেশন সেল কাজ করবে।

মোটরসাইকেল চলবে না তিন দিন : নির্বাচনের আগে ও পরে মিলিয়ে ৭২ ঘণ্টা দেশজুড়ে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গতকাল মধ্যরাত থেকে মোটরসাইকেল বন্ধ রয়েছে। একই সঙ্গে ট্যাক্সিক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলও বন্ধ থাকবে শনিবার মধ্যরাত থেকে ভোটের দিন রবিবার মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) বলেছে, শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) মধ্যরাতে শুরু হয়ে ভোটের পরদিন সোমবার (৮ জানুয়ারি) মধ্যরাত পর্যন্ত বাইক চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। তবে সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক বা জরুরি কোনো কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল চলতে পারবে। এজন্য রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদন নিতে হবে এবং স্টিকার প্রদর্শন করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসন ও অনুমতিপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষকদের বহনকারী যানবাহনের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না। জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন, ওষুধ, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা ও এ ধরনের কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি ও সংবাদপত্র বহনকারী সব ধরনের যানবাহন চলাচলে কোনো বাধা নেই। এ ছাড়া বিদেশ থেকে দেশে আসা এবং বিদেশে যাওয়া ব্যক্তির আত্মীয়স্বজনকে বহনকারী যানবাহন চলাচলে বাধা থাকবে না। এ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে উড়োজাহাজের টিকিট দেখাতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে দূরপাল্লার যাত্রী বহনকারী এবং দূরপাল্লার যাত্রী হিসেবে স্থানীয় পর্যায়ে যাতায়াতের জন্য যে কোনো ধরনের যানবাহন চলাচলেও কোনো বাধা থাকছে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর জন্য একটি এবং প্রার্থীর এজেন্টদের জন্য একটি গাড়ি রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষ স্টিকার দেখিয়ে চলাচল করতে পারবে।

নির্বাচনি অ্যাপে ঘরে বসেই ভোটার নম্বর, মিলবে কেন্দ্রের তথ্যও : ভোটার, প্রার্থী ও নাগরিকের বিভিন্ন তথ্যের নিশ্চয়তা দিতে ‘স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বিডি’ নামে একটি অ্যাপ চালু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে ভোটার নম্বর, কেন্দ্রের নাম ও লোকেশন, ভোট পড়ার হার, প্রার্থীদের হলফনামাসহ নির্বাচনের বিভিন্ন তুলনামূলক চিত্র ঘরে বসেই জেনে নিতে পারবেন সবাই।

মাঠে ৬৫৩ বিচারিক হাকিম, দেবেন তিন-সাত বছর জেল : সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন অপরাধের সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ সম্পন্ন করতে গতকাল মাঠে নেমেছেন ৬৫৩ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আইন শাখার কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। তাঁরা জানান, বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা ভোটের আগে-পরে পাঁচ দিনের জন্য নিয়োজিত থাকবেন।

গাইবান্ধা-৫ আসনে ভোট নিয়ে বিভ্রান্তি, যা জানাল ইসি : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে ভোট গ্রহণ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। গতকাল বিকালে নির্বাচন কমিশনের আইন শাখার কর্মকর্তারা ওই আসনে ভোট গ্রহণ বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানান। কিন্তু রাতে নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ অধিশাখা থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নির্বাচন কমিশন গাইবান্ধা-৫ আসনে ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখা সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। ওই আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, ভোটারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা ও নজরদারি বৃদ্ধির নির্দেশ : সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে অনভিপ্রেত পরিস্থিতি এড়াতে ভোট কেন্দ্র, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং ভবনের নিরাপত্তা জোরদার ও নজরদারি বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শুক্রবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমানের সই করা চিঠিতে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য স্থাপনায় মোট ৪২ হাজার ২৪টি ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সম্পাদক বা অনুরূপ কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষের সঙ্গে সভা করে বা যোগাযোগের মাধ্যমে অথবা দায়িত্ব দিয়ে ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা ও নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর