সোমবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

নতুন দলগুলোর ভরাডুবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

নতুন দলগুলোর ভরাডুবি

নতুন ছোট দলের কেউ ভোটে জেতেননি। বিএনপি থেকে বেরিয়ে এসে যারা তৃণমূল বিএনপি নামে দল গঠন করেছিলেন, তারা ভোটে অংশ নিলেও জিততে পারেননি। একইভাবে জিততে পারেননি সুপ্রিম পার্টি ও কংগ্রেস পার্টির কোনো প্রার্থী। তৃণমূল বিএনপি ১৩৫টি আসনে নির্বাচনে অংশ নেয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন শমসের মবিন চৌধুরী এবং তৈমূর আলম খন্দকার। তাদের কেউ নির্বাচনে জিততে পারেননি। জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) প্রার্থী দিয়েছিল ৫৪টি আসনে। তারাও কেউ জিততে পারেননি। জেতেননি কংগ্রেস এবং গণফ্রন্টের কোনো প্রার্থী। তৃণমূল বিএনপি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) বেশির ভাগ প্রার্থীকে ভোটের মাঠে সেভাবে দেখা যায়নি। রাজনীতিতে ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া এই দুই দলের শীর্ষ পর্যায়ের ছয়জন নেতা ছাড়া বাকি প্রার্থীদের পোস্টার-ব্যানারও ছিল কম। তবে দলের চেয়ারপারসন শমসের মুবিন চৌধুরী, মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহীনুর পাশা চৌধুরী নিজেদের নির্বাচনি প্রচার বেশ জোরালোভাবেই চালিয়েছিলেন। এবারের নির্বাচনে ১৩৫টি সংসদীয় আসনে প্রার্থী ছিল তৃণমূল বিএনপির। যে ২৮টি দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, তার মধ্যে প্রার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় দলটির অবস্থান আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির পরেই। অন্যদিকে বিএনএম প্রার্থী দেয় ৫৪টি আসনে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, মহাসচিবসহ ছয়টি আসনে প্রার্থীরা কমবেশি প্রচারে ছিলেন। বাকিরা ছিলেন না কোনো প্রচারণায়। তৃণমূল বিএনপির নির্বাচনি প্রতীক ‘সোনালি আঁশ’ আর বিএনএমের প্রতীক ‘নোঙ্গর’। দল দুটির প্রার্থীর তালিকায় সাবেক কয়েকজন সংসদ সদস্য ছাড়া আলোচিত নাম ছিল না। বিএনএম ও তৃণমূল বিএনপির মাধ্যমে বিএনপির অনেক নেতা নির্বাচন করবেন, ভোটের তফসিল ঘোষণার আগে রাজনীতিতে এমন আলোচনা ছিল। কিন্তু  সেই চেষ্টা সফল হয়নি।

সর্বশেষ খবর