মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ভোট ৪১.৮ শতাংশ সন্দেহ হলে চ্যালেঞ্জ করুন : সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভোট ৪১.৮ শতাংশ সন্দেহ হলে চ্যালেঞ্জ করুন : সিইসি

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে মোট ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়ার তথ্য দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। কারও সন্দেহ থাকলে চ্যালেঞ্জ জানাতে আহ্বান জানিয়েছেন সিইসি।

ভোটের পরদিন গতকাল ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভোটের এই হার তিনি তুলে ধরেন। সিইসি বলেন, কারও যদি কোনো সন্দেহ, দ্বিধা থাকে, ইউ ক্যান চ্যালেঞ্জ ইট এবং যদি মনে করেন, এটাকে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তাহলে ইউ আর মোস্ট ওয়েলকাম, যে ওটাকে চ্যালেঞ্জ করে, আমাদের অসততা, যদি মনে করেন, তাহলে সেটাকে আপনারা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম ভোটের দিন দুপুরে ব্রিফিংয়ে এসে বেলা ১২টা পর্যন্ত ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ এবং পরে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোট পড়ার হিসাব দেন। তাহলে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর এবারই সবচেয়ে কম ভোটের হার হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্ন তৈরি হয় সে সময়। তবে ভোট শেষে রবিবার বিকালে ব্রিফিংয়ে এসে সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোটের হার ৪০ শতাংশের মতো হতে পারে। পরিপূর্ণ তথ্য আসার পর এটা বাড়তেও পারে, নাও পারে।

তিনি বলেন, টোটাল রেজাল্টটা আসার পর কে কতটা ভোট পেল, ২৯৮টা আসনের যে রেজাল্টগুলো, একজন দুজন তিনজন চারজন ওটাকে যোগ করলে একটা যোগফল বের হয়। এভাবে তিনশটা, এটা কিন্তু খুব কঠিন নয়, লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি নয়। এটাকে যোগ করলে, এক্সেলে ফেলে দিলে পার্সেন্টেজটা একটা টিপ দিলেই বেরিয়ে আসে। যখন আমি ২টার সময় বলি, তখন কোনোভাবেই এটা পুরোপুরি সঠিক হওয়ার কথা নয়, যখন ৪টার সময় বলি, এটা কোনোভাবেই সঠিক হওয়ার কথা নয়। যখন রাতের ১০টায় বলি, যদি সব চলে আসে, বা এখন যদি বলি, সব চলে আসছে, তাহলে ইয়েটা দেখা যাবে। সিইসি বলেন, এখন যে রেজাল্টটা দাঁড়িয়েছে, সেটা হচ্ছে, ৪১ দশমিক ৮ পার্সেন্ট। কেউ যদি মনে করেন এ তথ্যে ভুল রয়েছে, তিনি চ্যালেঞ্জ করতে পারেন জানিয়ে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোটের এ হার নিয়ে সমালোচনাকারীদের তথ্যপ্রমাণ নিয়ে আসার চ্যালেঞ্জ দেওয়া হলো। একজন প্রার্থীর মৃত্যুতে নওগাঁ-২ আসনের ভোট আগেই বন্ধ রাখা হয়েছিল। রবিবার ভোটের মধ্যে একটি কেন্দ্র স্থগিত থাকায় ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের ফল স্থগিত রাখে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়। ফলে এ পর্যন্ত ২৯৮ আসনের ফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তাতে ২২২টি আসন পেয়ে টানা চতুর্থবার সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, যাদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের নেতা। ৬২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। গত দুই সংসদে প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসা জাতীয় পার্টি শেষ পর্যন্ত ১১ আসনে জয় পেয়েছে। যে ২৬ আসনে আওয়ামী লীগ লাঙলকে ছাড় দিয়েছিল, তার অর্ধেকের বেশি আসন তারা খুইয়ে বসেছে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিকদের মধ্যে জাসদ ১টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ১টি এবং একসময় বিএনপির জোটে থাকা কল্যাণ পার্টি ১টি আসনে জয় পেয়েছে।

 

 

সর্বশেষ খবর