সোমবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

হাই কোর্টের সাজার বিরুদ্ধে আমানকে আপিলের অনুমতি

খসরুর জামিন শুনানি বুধবার

নিজস্ব প্রতিবেদক

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ১৩ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত কারাবন্দি বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানকে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ। গতকাল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। গত ১০ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণের পর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার  বিশেষ জজ-১ আবুল কাশেম। এরপর তিনি আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন। একই সঙ্গে জামিন আবেদনও করেন। তবে আপিল বিভাগ ৪ ডিসেম্বর তাকে জামিন না দিয়ে লিভ টু আপিলের শুনানি করতে বলেন। সে অনুসারে শুনানি শেষে লিভ টু আপিল মঞ্জুর করা হয়। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানকে তিন বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। গত বছরের ৩০ মে সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল পুনঃশুনানি শেষে তাদের দন্ড বহাল রেখে রায় দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাই কোর্ট বেঞ্চ। রায় পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। গত বছরের ৭ আগস্ট সেই রায় প্রকাশ হয়। এরপর রায়ের নির্দেশনা মোতাবেক আমানের স্ত্রী সাবেরা আমান গত ৩ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করেন। পরদিন তিনি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত থেকে জামিন পান।

আট মামলায় আমির খসরুর জামিন শুনানি বুধবার : আট মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন শুনানির জন্য আগামী বুধবার দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরী শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ৮ জানুয়ারি হাই কোর্ট তার জামিন আবেদন গ্রহণ করে তা আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন। ঢাকার সিএমএমকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার আইনজীবীরা জানান, গত ২ নভেম্বর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হলেও নাশকতার আট মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখাচ্ছে না পুলিশ। এর মধ্যে সিএমএম কোর্ট জামিন আবেদন করা হয়েছিল। আদালত জামিন আবেদনগুলো নিয়ে রেখে দিয়েছেন। নিষ্পত্তি করছেন না। এটি চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট করা হয়েছিল। হাই কোর্ট জামিন আবেদনগুলো গ্রহণ করে আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি করতে ঢাকার সিএমএম আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন।

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর সমাবেশ কেন্দ্র করে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের ফটক ভেঙে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। সমাবেশের দিন হামলা-সংঘর্ষের পর রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানায় মোট ১১টি মামলা করে পুলিশ। এর মধ্যে ১০ মামলায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আসামি করা হয়। গত ২ নভেম্বর কনস্টেবল আমিনুল পারভেজ হত্যা মামলায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর