মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ভোটের হার নিয়ে জানতে চেয়েছে তিন আন্তর্জাতিক সংস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৪১ দশমিক ৮০ শতাংশ ভোটের হার নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চেয়েছে তিন আন্তর্জাতিক সংস্থা। ভোটের এই হার নিয়ে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি দূর করতে ইসির কাছে তথ্য চেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশেষজ্ঞ দল ইলেকশন এক্সপার্ট মিশন, যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই)। গতকাল ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিশেষজ্ঞ দল ইসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে। আইআরআই ও এনডিআইয়ের প্রতিনিধিরাও কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন। সেখানে ভোটের হার নিয়ে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি দূর করতে কর্মকর্তাদের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়। ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ইইউর ‘টেকনিক্যাল’ দল এবং আইআরআই ও এনডিআইয়ের প্রতিনিধিরা গতকাল বৈঠক করেছেন। তারা মূলত নির্বাচনের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত জানতে চেয়েছিলেন। তাদের সব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। প্রসঙ্গত, ভোটের দিন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, সারা দেশে দুপুর ১২টা পর্যন্ত গড়ে সাড়ে ১৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে দ্বিতীয় দফা ব্রিফিংয়ে সচিব জানান, বেলা ৩টা পর্যন্ত ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে এই হিসাবে কিছুটা হেরফের হতে পারে। কারণ সব জায়গার তথ্য পাওয়া যায়নি। ভোট গ্রহণ শেষে বিকাল ৫টার পর সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশানর (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রথমে বলেন, ২৮ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। পাশ থেকে তাকে একজন বলেন, এই হার ৪০ শতাংশ। তখন সিইসি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ৪০ শতাংশ যেটা এসেছে, এখন পর্যন্ত এটি নির্ভরযোগ্য। তবে এটি নিশ্চিত নয়, কিছুটা ব্যত্যয় হতে পারে। সর্বশেষ ফল হিসেবে ভোট গ্রহণের পরদিন ইসি জানায়, এবারের নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪১ দশমিক ৮০ শতাংশ। ইসি সূত্র জানিয়েছে, ইইউর বিশেষজ্ঞ দল এবং এনডিআই, আইআরআই মূলত ভোটের হার নিয়ে এই বিভ্রান্তির বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। তাদের ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সব ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল যেন, প্রতি দুই ঘণ্টা পরপর ভোট গ্রহণের হার জানানো হয়। ইসির বিশেষ সফটওয়্যারে এ সংক্রান্ত তথ্য দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সব কর্মকর্তা এ কাজটি যথাযথভাবে করতে পারেননি। তিনটি পার্বত্য জেলার সংসদীয় আসন এবং এর বাইরে আরও বেশ কিছু এলাকার ভোট কেন্দ্রের ভোট গ্রহণের হার কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে ইনপুট দিতে পারেননি বা দেননি। এ সংক্রান্ত তথ্য উপাত্ত ইইউ ও এনডিআই, আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদের দেখানো হয়েছে।

 

 

 

সর্বশেষ খবর