বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

টিকে থাকার লড়াই

এম সাখাওয়াত হোসেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

টিকে থাকার লড়াই

আওয়ামী লীগ ও দলের স্বতন্ত্র প্রার্র্থীদের রাজনীতির মাঠে টিকে থাকার লড়াই এবং দলে নিজেদের অবস্থান জানান দেওয়া নিয়েই নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা ঘটছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে টিকে থাকার লড়াইয়ে নেমে প্রার্থীরা নিজেদের সমর্থকদের আর সামলাতে পারছেন না। তৈরি হচ্ছে উপদল। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, এবারের নির্বাচনে যেহেতু কেউ (বিরোধী দলগুলো) আসতে চায়নি, আর সরকারকে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখাতে হতো, ভোটার টানতে হতো। দলটি একটানা ১৫ বছর ক্ষমতায়। এর আগে আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় ছিল। দলটিতে অনেক পুরনো নেতা আছেন। এবার এমন লোকেদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, যাদের তেমন জনপ্রিয়তা নেই বা কমে গেছে। অনেক জনপ্রিয় লোক মনোনয়ন পাননি। কাজেই তাদের একটা সুযোগ হলো স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড়ানোর। তারা জেতার জন্য মরিয়া হয়ে গেলেন।

তিনি বলেন, এত বছর ধরে দল ক্ষমতায় থাকায় অনেকগুলো সুবিধাভোগী গোষ্ঠী তৈরি হয়ে গেছে। সেই গোষ্ঠীগুলোতে এর মধ্যে অন্য কাউকে ঢুকতে দিতে চায় না। একেক জন তিনবার, চারবার, পাঁচবার করে এমপি হয়েছেন, তারা নিজেরাও সুবিধাভোগী গোষ্ঠী তৈরি করেছেন। তাদের ঘিরেও একটা বলয় আছে। সবকিছু মিলিয়ে আগামী পাঁচ বছর পর কী হবে কেউ জানে না। যারা জ্যেষ্ঠ নেতা তারাও জানেন না কী হবে, নতুন নেতৃত্ব আসবে কি না, সবকিছু মিলিয়ে এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে; এবার জিততেই হবে।

তিনি বলেন, এই যে টিকে থাকা লড়াই এবং দলের মধ্যে নিজের অবস্থান জানান দেওয়ার জন্য উপদল হয়ে গেল, আমার সমর্থক, ওর সমর্থক, এই যে বিভক্তি, এর প্রতিফলনই আমরা দেখছি। বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের মধ্যেই ভোট জালিয়াতি হয়েছে। যিনি নির্বাচনে জিতেছেন, তিনি বলছেন, তুই আমাকে প্রতিহত করতে গেলি কেন। যার জেতার কথা না সে জিতছে, কারচুপি হয়েছে, আরেক দলকে গিয়ে মারপিট শুরু করেছে।

এটা চলবে কিছুদিন। তারপর কী হবে আমরা জানি না।  জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার প্রভাব উপজেলা নির্বাচনে পড়বে কি না প্রশ্নে সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, নিশ্চয়ই পড়বে। আমরা অনেক বিদ্রোহী প্রার্থী দেখব। আওয়ামী লীগ চিন্তা করছে, তারা নৌকা প্রতীক দেবে না, এমন পরিস্থিতি স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংখ্যা বাড়াবে বলেও মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচন দলভিত্তিক করায় অনেক লোক আসতে পারছে না। জেলা পর্যায়ে দলভিত্তিক নির্বাচন হতে পারে। ইউনিয়ন পর্যায়ে দলভিত্তিক করা... (ঠিক হয়নি)। আমাদের সেই পদ্ধতিই তো নেই। আমাদের পদ্ধতিই আলাদা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর