আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, যারাই সহিংসতা ঘটাবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যত বড় প্রভাবশালীই হোক, আইন সবার জন্য সমান। এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হবে। গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটি বিশেষ কারণে মাঠে স্বতন্ত্র প্রার্থী রাখা হয়েছিল। নির্বাচন প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু নির্বাচন পরবর্তী কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তিনি বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে যে অবাধ-সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা যায় দ্বাদশ সংসদে তা প্রমাণিত হয়েছে। দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক সবাই এই নির্বাচনের প্রশংসা করছেন। বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টানা চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানাচ্ছেন। সেই মুহূর্তে নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা কাম্য নয়।
যারাই সহিংসতায় জড়াচ্ছেন তাদের হুঁশিয়ারি করে নানক বলেন, কোনো অপকর্মকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের জন্য এত উন্নয়ন, অর্জন ম্লান হতে পারে না। আমাদের নেত্রী কষ্ট করে, পরিশ্রম করে যে অর্জন করেছেন তা আমাদের গুটি কয়েকের জন্য ম্লান হতে দিতে পারি না। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার জন্যই আজ বিশ্বে সম্মানের সঙ্গে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে। বিশ্বের যে কোনো জায়গায় উন্নয়ন ও অর্জন নিয়ে কথা বলতে গেলে বাংলাদেশ অনায়াসে চলে আসে, চলে আসে শেখ হাসিনার নাম। বিএনপি সাম্প্রদায়িক অপশক্তির কাঁধে ভর করে ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে নানক বলেন, তারা এখন গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা সেজে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাই এই বর্ণচোরা বিএনপির অপকর্মের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, সরকার ও দেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে প্রচুর বিনিয়োগ করা হচ্ছে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টে চলছে পরিকল্পিত মিথ্যাচার। যারা এসব অপচেষ্টা চালাচ্ছে তারা সফল হবে না, তবুও আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।