চলন্ত লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে স্কুলছাত্রী (১৩) ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত অ্যাটেনডেন্ট আক্কাস গাজীকে (৩২) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে গতকাল সকালে বিভাগীয় মামলাও করেছে সংশ্লিষ্ট দফতর। বুধবার সকালে চলন্ত ট্রেনে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ের পরিবহন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুনকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন) তাসরুজ্জামান বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কঠোর না হলে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হতে পারে। ভিকটিম কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে রেলপুলিশের পক্ষ থেকে বুধবার রাতে যোগাযোগ করা হলে গতকাল সকালে তার বড় ভাই তাকে নিতে আসেন বলে জানিয়েছেন লালমনিরহাট রেলওয়ে জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলী। অভিযুক্ত আক্কাসকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায় রেলপুলিশ। এর আগে বুধবার দুপুরে লালমনিরহাট রেলওয়ে (জিআরপি) থানায় মামলা করে রেলওয়ে পুলিশ। গ্রেফতার রেলওয়ে কর্মচারী আক্কাস গাজী বরিশাল সদরের পাতাং এলাকার মৃত বজলু গাজীর ছেলে। তিনি লালমনিরহাট রেলওয়ের ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোয় ভারপ্রাপ্ত অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে কর্মরত। লালমনি এক্সপ্রেস চলন্ত ট্রেনের খ বগির ৭ নম্বর কেবিনে ওই শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। মামলার বিবরণে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে জয়দেবপুর রেলস্টেশনে ময়মনসিংহ জেলার ট্রেনে না উঠে ভুলবশত লালমনিরহাটগামী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠে পড়ে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী। টিকিট চেকিংয়ের সময় টিকিট না পাওয়ায় তাকে অ্যাটেনডেন্ট আক্কাস গাজী তার কক্ষে নিয়ে যান। একপর্যায়ে কেবিন ফাঁকা পেয়ে বুধবার সকাল ৮টার দিকে কেবিনে নিয়ে ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। পরে কিশোরীর চেঁচামেচিতে ট্রেনে থাকা পুলিশ সদস্যরা বিবস্ত্র অবস্থায় তাকে উদ্ধার এবং আক্কাসকে হাতেনাতে আটক করেন। ভুক্তভোগীর পরিবারের কাউকে না পেয়ে এ ঘটনায় লালমনিরহাট রেলওয়ে থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রুহুল আমীন বাদী হয়ে লালমনিরহাট রেলওয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। সে মামলায় আক্কাস গাজীকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।