শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

গেরিলা লড়াইয়ে প্রতিরোধ হামাসের

প্রতিদিন ডেস্ক

ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন কাস্সাম ব্রিগেডের রকেট হামলায় গাজার দক্ষিণাঞ্চলে পাঁচজন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। গতকাল খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলে এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। সূত্র : আল জাজিরা।

আরেক খবরে বলা হয়, গাজার রাফাহ এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের গোলা বর্ষণে আট শিশুসহ ২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের আল-কুয়েত হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পশ্চিম তীরের তুলকারাম শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে অন্তত দুই ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের একজন ছিলেন মুহাম্মাদ ফয়সাল দাউস নামের এক ফিলিস্তিনি যুবক। উল্লেখ্য, গতকাল ছিল গাজায় ইসরায়েলি হামলার ১০৪তম দিন। গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় শহীদ ফিলিস্তিনির সংখ্যা ২৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আহত হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার জন।

যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ছে : এক এক করে ১০০ দিনের বেশি পার হলো ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের। এ সময়ের ভিতর প্রায় ৩৬৫ বর্গকিলোমিটারের অবরুদ্ধ গাজায় লাগাতার হামলা চালিয়েও সামরিক দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ইসরায়েল মহাশক্তিধর যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ইতি তো টানতেই পারেনি বরং এখন শঙ্কা- এ যুদ্ধ আরও বিস্তৃত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার। গত শনিবার লেবাননের হিজবুল্লাহ-ঘনিষ্ঠ সংবাদমাধ্যম আল মায়াদিন জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে ইরান-সমর্থিত ‘প্রতিরোধ বলয়’- এর যোদ্ধারা এখন পর্যন্ত সিরিয়া ও ইরাকে মার্কিন সেনাদের ওপর অন্তত ১৩০ বার হামলা করেছে। নাম প্রকাশ না করা এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইরাকে হামলা হয়েছে ৫৩ বার ও সিরিয়ায় ৭৭ বার। আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসকে দমনের উদ্দেশে ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটি আছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে গাজায় দেশটির নির্বিচার হামলার শুরু থেকে লেবাননের সঙ্গে এর সীমান্ত-সংঘাত অনানুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে যায়। দক্ষিণ সীমান্তে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ইসরায়েলকে এর উত্তর সীমান্তে হিজবুল্লাহর দিকেও লক্ষ্য রাখতে হচ্ছে। এরপর বিশ্ববাসী লোহিত সাগরকে এতটাই উত্তপ্ত হতে দেখে যে তা ‘শীতল’ করতে বিশ্বের দুই পরাশক্তিকে সামরিক অভিযানে নামতে হয়েছে। হুতি লক্ষ্যবস্তুতে হামলার পরদিন জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ড নিরাপত্তা পরিষদকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র কখনোই চায় না মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ুক।’ দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগ সমন্বয়ক জন কিরবি সিএনএনকে বলেছেন, ‘আমরা যা করছি, আমরা যা করার চেষ্টা করছি, তা হলো সংঘাত যেন ছড়িয়ে না পড়ে।’ গত রবিবার ইরানের আরেক সংবাদ সংস্থা ইসনাকে তেহরানে হুতি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেন সরকারের রাষ্ট্রদূত ইবরাহিম মোহাম্মদ আল-দেইলামি বলেন, ‘আমেরিকানরা এ অঞ্চলে যুদ্ধ ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ খুঁজছে। আমরা তাদের এমন বোকামি না করতে সতর্ক করছি।’ ‘লোহিত সাগরে যাই ঘটবে তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রই দায়ী’ বলেও মন্তব্য করেন আল-দেইলামি।

সর্বশেষ খবর