শিরোনাম
শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

জাহাজে হুতি আক্রমণ পাল্টা মার্কিন হামলা

প্রতিদিন ডেস্ক

ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন হুতিরা লোহিত সাগর অঞ্চলে মার্কিন পরিচালনাধীন আরেকটি জাহাজে হামলা চালিয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় হুতিদের লক্ষ্যস্থলে নতুন করে আঘাত হেনেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এনিয়ে চলতি সপ্তাহে মার্কিন পরিচালনাধীন জাহাজে দ্বিতীয়বার হামলা চালাল ইরান সমর্থিত হুতিরা। সূত্র : রয়টার্স।

এক খবরে বলা হয়েছে, কয়েকবার হামলার শিকার হয়েও দমে যাওয়ার লক্ষণ দেখাচ্ছে না হুতিরা, বরং বুধবার তারা যুক্তরাষ্ট্রের মালবাহী জাহাজ জেঙ্কো পিকার্ডিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি জাহাজে ‘সরাসরি আঘাত হেনেছে’ বলে দাবি করে তারা। শিপিং অপারেটর জেঙ্কো হামলার কথা নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, তাদের জাহাজটি ফসফেট শিলা নিয়ে এডেন উপসাগর দিয়ে যাওয়ার সময় একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে, এতে জাহাজটি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ওই এলাকার বাইরে চলে যেতে বাধ্য হয়। হামলায় কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছে তারা। এর কয়েক ঘণ্টা পর যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী জানায়, তারা ইয়েমেনে হামলা চালিয়ে হুতিদের ১৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে দিয়েছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ‘ওই অঞ্চলে বাণিজ্যিক জাহাজ ও মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজগুলোর জন্য অনিবার্য হুমকি ছিল’ বলে এক বিবৃতিতে বলেছে তারা। হুতিদের বার্তা সংস্থা সাবা জানিয়েছে, ইয়েমেনের কয়েকটি এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশরা। এরপরও তারা লোহিত সাগর ও সংলগ্ন অঞ্চলে হামলা চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন হুতিদের এক মুখপাত্র। হুতিরা জানিয়েছে, তারা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত ও ইসরায়েলগামী সব জাহাজে হামলা চালাচ্ছে। তাদের অবস্থানগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের হামলার জবাবে এসব দেশের সামরিক-বেসামরিক সব জাহাজ লক্ষ্যস্থল করার হুমকি দিয়েছে হুতিরা। খবরে বলা হয়, গত নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই হামলার কারণে লোহিত সাগরের জলপথে এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে বাণিজ্যের গতি ধীর হয়ে পড়েছে। এতে উদ্বিগ্ন পশ্চিমা শক্তিগুলো হুতিদের দমাতে তাদের সামরিক লক্ষ্যস্থলগুলোতে হামলা শুরু করেছে, ফলে গাজায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে চলা যুদ্ধের আরও বিস্তৃতি ঘটেছে।

সিরিয়ায় জর্ডানের বিমান হামলা নিহত ১০ : সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে জর্ডানের সন্দেহভাজন বিমান হামলায় শিশুসহ অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। সিরিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও একটি নজরদারি সংস্থা জানিয়েছে, গতকাল সকালে এ হামলা হয়। জর্ডানি কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। সূত্র : রয়টার্স। খবরে বলা হয়, জর্ডানের সেনাবাহিনী কয়েক সপ্তাহ ধরে মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করেছে। গত সপ্তাহে কথিত ইরানপন্থি মিলিশিয়াদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর এ পদক্ষেপ নিচ্ছে জর্ডান। সিরিয়ার স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম বলেছে, জর্ডানের বিমান দক্ষিণাঞ্চলীয় সুওয়ায়দা প্রদেশের আরমান শহরের দুটি বাড়িতে আঘাত হানে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। আরেক সংবাদমাধ্যম বলেছে, একই সময়ে জর্ডান সীমান্তের কাছে আরেকটি আবাসিক এলাকাতেও বিমান হামলা হয়েছে। সিরিয়ার নিউজ পোর্টাল সুওয়াইদাটোয়েন্টিফোর বলেছে, রাতভর অবিরাম বিমান হামলায় জর্ডান সীমান্তের কাছে প্রদেশটির দক্ষিণ-পূর্বে আরমানের আবাসিক ভবনগুলোতে আঘাত হেনেছে। হামলায় ১০ বেসামরিক নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুই শিশু, পাঁচ নারী ও তিনজন পুরুষ রয়েছেন। তবে এতে জর্ডান হামলা চালিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়নি। সিরিয়ায় সংঘাতের ওপর নজর রাখা দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, সুওয়ায়দাতে জর্ডানের বিমান হামলায় দুই শিশুসহ নয়জন নিহত হয়েছেন। জর্ডান ও দেশটির পশ্চিমা মিত্ররা মাদক পাচার বৃদ্ধির জন্য লেবাননভিত্তিক হিজবুল্লাহসহ ইরানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করে আসছে। সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের বেশির ভাগ নিয়ন্ত্রণ করছে এসব গোষ্ঠী। ইরান ও হিজবুল্লাহ এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

সর্বশেষ খবর