বুধবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ইইউর বাণিজ্য নিয়ম না মানলে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কর্মকর্তারা বলেছেন, মানবাধিকার ও পরিবেশ সুরক্ষায় বাংলাদেশকে ডিউ ডিলিজেন্স বা নিয়মকানুন যথাযথভাবে পালন করতে হবে। নিয়ম না মানলে নিষেধাজ্ঞা ও জরিমানার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগের জন্য ব্র্যান্ডগুলোকে বাধ্য করা হবে। তবে স্থানীয় উৎপাদকরা মনে করেন, নিয়মের সংখ্যা ও তা পরিপালনের খরচ অনেক বেশি। সে কারণে তাঁরা ক্রেতাদের কাছ থেকে পণ্যের ন্যায্যমূল্য চেয়েছেন।

গতকাল রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ‘আইনের যথাযথ পরিপালন’ বিষয়ে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন দেশের তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের ব্যবসায়ীরা। গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি)। আইবিএফবি সভাপতি হুমায়ুন রশীদের সভাপতিত্বে গোলটেবিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডেপুটি হেড অব ইইউ মিশন বার্নড স্প্যানিয়ার। অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান, নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন এবং আইবিএফবির সহসভাপতি এম এস সিদ্দিকী। অনুষ্ঠান শেষে ধন্যবাদ জানান আইবিএফবির উপদেষ্টা মুহাম্মদ আবদুল মজিদ। আলোচনা অনুষ্ঠানে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, যে ডিউ ডিলিজেন্স আইন করা হয়েছে, তা শুধু ক্রেতা-বিক্রেতার বিষয় না; সরবরাহশৃঙ্খলে যুক্ত সবার পালনের জন্যই তা করা হয়েছে। এসব নিয়মকানুনের মধ্যে শিশুশ্রম, বাধ্যতামূলক শ্রম, দাসত্ব (স্লেভারি), বন ধ্বংস, পরিবেশদূষণ, ইকোসিস্টেমের ক্ষতি করা ও মানবাধিকারের মতো বিষয় রয়েছে। সুতরাং এসব শুধু ইউরোপীয় ইউনিয়নের একার স্বার্থ নয়, এর সঙ্গে বৈশ্বিক স্বার্থ যুক্ত।

ডিউ ডিলিজেন্স বিধিবিধানগুলোকে আলাদা হিসেবে দেখা ঠিক হবে উল্লেখ করে চার্লস হোয়াইটলি বলেন, ২০২৬ সাল নাগাদ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পথে বাংলাদেশকে অনেক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। তাই ডিউ ডিলিজেন্স আইনকে আলাদা হিসেবে দেখা ঠিক হবে না। এ সম্পর্কিত প্রায় ৩২টি কনভেনশন রয়েছে। বাংলাদেশকে এগুলো শুধু অনুসমর্থন নয়, বরং তা বাস্তবায়ন করতে হবে।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গত কয়েক বছরে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বেশ কিছু বিধিবিধান পাস হয়েছে। যদিও এসবের মূল সারমর্ম প্রায় একই, তার পরও প্রতিটির জন্য আলাদা নিরীক্ষা করতে হয়। এটি নিঃসন্দেহে সময় ও আর্থিক দিক থেকে টেকসই না। সুতরাং আইনগুলো সর্বজনীন ও বৈশ্বিকভাবে পালনযোগ্য হওয়া উচিত।

সর্বশেষ খবর