জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ফসল আজ ভূলুণ্ঠিত। ধ্বংসের মুখে পড়া রাষ্ট্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা, সুশাসন কায়েমসহ জনগণের অংশগ্রহণভিত্তিক মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন উপযোগী রাষ্ট্র নির্মাণে ‘দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ একমাত্র বিকল্প’। এই যুদ্ধ সামনে রেখে গণজাগরণ, গণ আন্দোলন এবং গণ অভ্যুত্থান সৃষ্টির রণনীতি ও রণকৌশল নির্ধারণ করতে হবে। তিনি গতকাল জেএসডির কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সভায় সভাপতির বক্তৃতা করছিলেন। সভায় আরও বক্তৃতা করেন জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। উপস্থিত ছিলেন জেএসডির সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব, মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, কে এম জাবির, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, এস এম আনোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, আমিন উদ্দিন বিএসসি, লোকমান হাকিম, আবদুল লতিফ খান, মুজতোবা কামাল, কামাল উদ্দিন মজুমদার সাজু, এস এম শামসুল আলম নিক্সন প্রমুখ।

রব বলেন, গভীর সংকট থেকে প্রজাতন্ত্রের উত্তরণ ও রাষ্ট্র সুরক্ষার প্রয়োজনে আরেকবার মুক্তিযুদ্ধ অনিবার্য হয়ে পড়েছে। অবৈধ ক্ষমতাকে ধরে রাখতে গিয়ে সরকার গত ১৫ বছরে অগণতান্ত্রিক, স্বৈরতান্ত্রিক ও প্রচণ্ড ফ্যাসিবাদী রূপ ধারণ করে রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানকে আইনগত ও নৈতিকভাবে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়ে রাষ্ট্রকে বিপজ্জনক ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে। ধারাবাহিক সংকটে বিপর্যস্ত ব্যবস্থা, দেশ পরিচালনায় লুটেরা মনোবৃত্তি, পরাশক্তির ওপর নির্ভরশীলতা, জবাবদিহিবিহীন সংস্কৃতি- সমগ্র জাতিকে বহুমাত্রিক শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে ফেলেছে। ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের ফসল আজ ভূলুণ্ঠিত। নৈতিকভাবে বিপর্যস্ত ও মনীষাগতভাবে দেউলিয়া জাতির জন্য ‘দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ’ই হবে নতুন মুক্তি সংগ্রামের অনুপ্রেরণার উৎস বলেও মন্তব্য করেন রব।