রবিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

আসে ১৫৮ পয়েন্ট দিয়ে ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

আসে ১৫৮ পয়েন্ট দিয়ে ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে

দেশের সীমান্ত এলাকার ১৫৮টি পয়েন্ট দিয়ে মাদক আসছে। এ পয়েন্টগুলো দিয়ে আসা ইয়াবা, ক্রিস্টাল মেথ, কোকেন, ফেনসিডিলসহ নানা ধরনের মাদক ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। এরই মধ্যে চিহ্নিত পয়েন্টগুলোতে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়িয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক জাফরল্ল্যাহ কাজল বলেন, ‘বৃহত্তর চট্টগ্রামের সীমান্ত এলাকার দেড় শতাধিক পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। এ পয়েন্টগুলোতে দিয়ে আসছে নানা ধরনের মাদক। এরই মধ্যে এলাকাগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’ জানা যায়, মাদকের প্রবেশ দ্বারে পরিণত হয়েছে বৃহত্তর চট্টগ্রামের ১৮ উপজেলা। এ উপজেলাগুলোর ১৫৮টি পয়েন্ট দিয়ে ইয়াবা, ক্রিস্টাল মেথ, কোকেন, গাঁজা, ফেনসিডিল, বিদেশি মদসহ নানা ধরনের মদ আসছে। এর মধ্যে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী জেলা কক্সবাজার এবং বান্দরবান দিয়ে আসছে ইয়াবা, আইস ও কোকেন। কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী এবং খাগড়াছড়ি জেলার পয়েন্টগুলো দিয়ে আসছে গাঁজা, ফেনসিডিল, এসকফ সিরাপ ও বিদেশি মদ। ইয়াবা, কোকেন ও আইস প্রবেশের পয়েন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে টেকনাফ উপজেলার চাকমারকুলের কোয়ানচিবন, হোয়াই্যকংয়ের ডেউবুনিয়া, উনচিপ্রাংয়ের খোয়ারহালী, কাঞ্জরপাড়ার শালখালী, জীম্মনখালীর জিয়ানহালী, নয়াবাজারের কুয়ারবিল, হ্নীলার নাখপুরা, মুছনীর রাম্মাঘোনা, জাদীমুড়ার রংগাদন, নাইট্যংপাড়ার পেরানপুরু, টেকনাফ জেটির খায়ামখালী, সাবরাংয়ের মংডু শহর, ঘোলারপাড়ার মন্নিপাড়া, শাহপরীরদ্বীপের শাধনশা, নাইক্কনদীয়া, সেন্টমার্টিনের মেরুল্লা। কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার ভালুখিয়ার শিকদারপাড়া, বাইশপাড়ির নারাইনশন, কাস্টমসের ডেউবুনিয়া, খাইনখালীর চাকমাকাটা, পালংখালীর লাম্মনহালী। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সাত রুটের মধ্যে রয়েছে ফুতলী, লম্বাশিয়া, ভালুরখাইয়া, চাকঢালাদৌছড়ি, উত্তরপাড়া এবং বাইশফাঁড়ি। খাগড়াছড়ির রামগড়, মাটিরাঙা এবং পানছড়ি উপজেলার ৩৬ পয়েন্ট দিয়ে ঢুকছে ফেনসিডিল, গাঁজা, বিয়ার ও বিদেশি মদ। এ পয়েন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে রামগড় উপজেলার বল্টুরাম, সোনাইপুল, মহামুন, কাশিয়ারি, লাচাড়ীপাড়া। মাটিরাঙা উপজেলার লক্ষ্মীছড়ি, দইল্যা, ওয়াশো, ছাদিয়াবাড়ি, ছলিটাছড়া, অযোধ্যা, সফিটিলা, বেলছড়ি, শান্তিপুর, করল্যাছড়ি, আমতলী, তবলছড়ি, দেয়ানবাজার, দরপাশাবাড়ি, আছালং, ভগবানটিলা, বান্দরসিং, সীমানাপাড়া, রুপসেনপাড়া, নন্দকুমার, ছনখোলা, কচুছড়ি, বৌদ্ধমনি, পিহাইট, নারাইছড়ি, লোগাং, দুদকছড়া, পুচগাং, বাপ্পীমোড় এবং বাবুড়াপাড়া। ফেনীর চার উপজেলার ৩২ পয়েন্ট দিয়ে আসছে গাঁজা, ফেনসিডিল, বিয়ার ও বিদেশি মদ। যার মধ্যে ফেনী সদর উপজেলার জের কাচার, বরাইরা, ধর্মপুর, জোয়ার কাচার, কাজিরবাগ, গীতাবাড়ী। ফুলগাজীর পেঁচিবাড়িয়া, তারাকুচা, খাজুরিয়া, গোসাইপুর, বসন্তপুর, নোয়াপুর, জামমুড়া, মনতলা এবং কমুয়া। পশুরাম উপজেলার গুথুমা, অলকা, বিলোনিয়া, ধানকুড়া, সুবারবাজার, বাজেশপুর, জয়ন্তীনগর, বাঁশপদুয়া, কেথরাংগা। ছাগলনাইয়ার মধুগ্রাম, দেবপুর, যশপুর, ছয়ঘরিয়া, সোনাপুর, দারোগারহাট, চম্পকনগর এবং অলিনগর। কুমিল্লার ৩৬ পয়েন্ট দিয়ে দেশে ঢুকছে ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিল, এসকাফ সিরাপ, বিয়ার এবং বিদেশি মদ। পয়েন্টগুলো হচ্ছে- চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সাহেবের টিলা, নোয়াপাড়া, বসন্তপুর, আদর্শগ্রাম, কালিকাপুর, নাটাপাড়া, শ্যামনগর, মতিয়াতলি, কালিশপুর, সুজাতপুর এবং ধনমুড়ি। বুড়িচংয়ের চড়ানল, নবীয়াবাদ, হায়দারাবাদ, ভবের মুড়া, আনন্দপুর দক্ষিণ এবং গুচ্ছগ্রাম। আদর্শ সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর, পস্তরখিল, গোলাবাড়ি, নোয়াপাড়া, কটকবাজার, শাহপুর কাম্বারা টিলা, দলকিয়া এবং গাজীপুর। সদর দক্ষিণ উপজেলার একবালিয়া, কনেশতলা, ধনপুর, রাজেশপুর এবং বিরাহিমপুর। ব্রাহ্মণপাড়ার সালদা নদী, নারায়ণপুর, তেঁতাভুমি, আশাবাড়ী এবং হরিমঙ্গল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চার উপজেলার ৩৪ পয়েন্ট দিয়ে আসছে ফেনসিডিল, এসকফ সিরাপ, ইয়াবা, বিদেশি মদ, বিয়ার এবং গাঁজা। এ পয়েন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে বিজয়নগরের সিংগারবিল, বিষ্ণপুর, নোয়াবাদী, নলগড়িয়া, ইকরতলী, সেজামুড়া, কামালমুড়া, চাঁদপুর, কালাছড়া, হরখপুর। আখাউড়ার আজমপুর, কল্যাণপুর, হিরাপুর, আবদুল্লাপুর, চানপুর, আনোয়ারাপুর, কুড়িপাইকা, সেনারবাগি, মিনারকোট, কাইয়াতলা, জয়নগর এবং সৈয়দপুর। কসবার অষ্টজঙ্গল, কাশিনাথপুর, কালিকাপুর, গোসাইপুর, গঙ্গনগর, তারাপুর, রাহতখোলা, চাটুয়াখোলা, গোসাইপুর, কৈয়াপনিয়া, তারাপুর এবং আকবপুর।

সর্বশেষ খবর