মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

কুমিল্লায় সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা নিহত

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা এলাকায় দুই পক্ষে সংঘর্ষে গতকাল কামরুল ইসলাম নামের ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও ছয়জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। এ ঘটনায় চালিভাঙ্গা ইউনিয়নজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। জানা গেছে, চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ও জেলা পরিষদ সদস্য কাইয়ুম হোসেনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর বিবধমান দুই পক্ষে সংঘর্ষে চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরের ভাই নিজাম সরকার নিহত হন। এ ঘটনার পর থেকে কাইয়ুম গ্রুপের নেতা-কর্মীরা এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। এলাকার আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে রবিবার চালিভাঙ্গায় পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়। ক্যাম্প করায় সবাই বাড়িতে ফিরতে থাকেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে বাগবাজার নদীর ঘাটে দুই পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পথে মারা যান কামরুল। এ ঘটনায় আরও ছয়জন আহত হয়েছেন। তারা হলেন- চালিভাঙ্গার মো. দাইয়ান, মো. কাদির হোসেন মেম্বার, মো. সোহেল, মো. কাউসার ও মুরাদ হোসেন। তারা সবাই ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছেন।

জেলা পরিষদ সদস্য কাইয়ুম হোসেন বলেন, লোকজন ভয়ে আসতে পারছিলেন না। পুলিশ ক্যাম্প বসানোর কারণে আজ এলাকায় ঢুকছেন। পথে বাগবাজার নদীর ঘাটে আমিসহ তাদের এলাকায় নিরাপদে পৌঁছে দিতে আসি। কিন্তু চেয়ারম্যানের ভাইসহ তাদের লোকজন হামলা চালায়। হামলায় কামরুল মারা গেছেন। আরও ছয়জনের অবস্থা খারাপ। তারা ঢাকা মেডিকেলে আছেন। চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন, তারা আমার ভাইকে মেরেছে। আজ আবার এলাকায় ঢোকার সময় তাদের প্রতিহত করে গ্রামবাসী। এতে নিরীহ কামরুল আহত হন। পরে কাইয়ুম গ্রুপের লোকজন তাকে পিটিয়ে মেরেছে। আমাদের কেউ এ ঘটনায় জড়িত নয়।’ মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আগের একটি হত্যাকে কেন্দ্র করে আজকের ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি। লাশ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

সর্বশেষ খবর