বুধবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ইমরান খানের ১০ বছর কারাদণ্ড

প্রতিদিন ডেস্ক

ইমরান খানের ১০ বছর কারাদণ্ড

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন একটি বিশেষ আদালত। একই আদালত পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকেও ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় গোপনীয় তথ্য ফাঁস করার অভিযোগের মামলায় তাঁদের এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। গতকাল জেলের ভিতরেই মামলার শুনানি চলছিল। সেখানেই ইমরানকে ১০ বছরের সাজার রায় শোনানো হয়। পাকিস্তান ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সিই ইমরানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। খবর বিবিসির। ২০২২ সালে ইমরান খানকে তাঁর বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ইমরান খান ইতোমধ্যেই তিন বছরের কারাদণ্ড ভোগ করেছেন। তবে তিনি সব অভিযোগকেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেন। পাকিস্তানে এই মামলা ‘চিপার কেস’ নামেও পরিচিত। চিপার অর্থাৎ সাংকেতিক ভাষায় লেখা কিছু বার্তা। অভিযোগ, ওয়াশিংটন থেকে পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতের পাঠানো এমনি একটি বার্তা ইমরান এবং কুরেশির হাতে উঠেছিল। যাতে লেখা ছিল, ‘ইমরানকে তাঁর পদ থেকে সরাতে সহযোগীর ভূমিকা পালন করছে যুক্তরাষ্ট্র।’ কূটনৈতিক সেই বার্তা গোপন রাখেননি ইমরান। সাংকেতিক ভাষায় লেখা ওই বার্তা পেয়েও ফাঁস করে দেন বলে অভিযোগ। ইমরান খান বরাবরই বলে এসেছেন, তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরাতে গভীর ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। তখন ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, কূটনৈতিক কথোপকথন প্রকাশ্যে এনে দেশের গোপনীয়তা রক্ষার আইন লঙ্ঘন করেছেন ইমরান এবং কুরেশি। আইনজীবীরা বলছেন, পরবর্তী অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।

গত কয়েক মাস ধরে এই মামলার শুনানি চলছে। একটি বিশেষ আদালত কারাগারের মধ্যেই এই বিচার চালাচ্ছেন। ওই কারাগারেই ইমরান খান আগস্ট থেকে বন্দি রয়েছেন। সেখানে আন্তর্জাতিক কোনো সংবাদমাধ্যমকে উপস্থিত থাকতে দেওয়া হয়নি। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিচারককে সম্প্রতি বলা হয়েছিল দ্রুত বিচারকাজ শেষ করতে। ইমরান খানের দল পিটিআই বলেছে, তারা আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করবে। এ ছাড়া এই রায়কে তারা উপহাস বলে অভিহিত করেছেন। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তানে। অভিযোগ উঠেছে, পিটিআইকে নির্বাচনি প্রচারে বাধা দিচ্ছে। ইমরান খান অন্য আরও অনেক মামলা আইনিভাবে লড়ছেন।

সর্বশেষ খবর