পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের শিকার হয়ে ফারুক হোসেন নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগে বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলামসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ফারুকের স্ত্রী ইমা আক্তার হ্যাপি বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। গতকাল আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ এবং অভিযোগ তদন্ত করে আগামী ২৮ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় আরও যাদের আসামি করার আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন- বংশাল থানার উপপরিদর্শক ইমদাদুল হক, আবু সালেহ, মাসুদ রানা ও বুলবুল আহমেদ। মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, গত ১২ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফারুক হোসেন লালবাগের খাজা দেওয়ান সিং লেনের বাসা থেকে ব্যক্তিগত কাজে বের হন। এর এক ঘণ্টা পর ফারুক হোসেন তার স্ত্রী হ্যাপিকে ফোনে জানান, তাকে সন্দেহজনকভাবে কায়েতটুলী ফাঁড়ির কতিপয় পুলিশ গ্রেফতার করে আটকে রেখে নির্যাতন করছে। ফোন পেয়ে হ্যাপি সেখানে ছুটে গিয়ে দেখেন, ফারুককে পুলিশ সদস্যরা মারধর করে আটকে রেখেছে। এ সময় আসামিরা ফারুককে ছেড়ে দেওয়ার জন্য হ্যাপির কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করে। এমনকি তাকে কুপ্রস্তাব দেয়। তাতে রাজি না হওয়ায় আসামিরা ফারুককে ব্যাপক মারধর করে। আসামিরা জানায়, ফারুক এক মাদক কারবারি। এর কিছুক্ষণ পর ফারুককে মোটরসাইকেলে তারা বংশাল থানার দিকে নিয়ে যায়। এরপর গত ১৫ জানুয়ারি সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এক ব্যক্তি হ্যাপিকে জানান, ফারুক মারা গেছেন। খবর পেয়ে হাসপাতালের মর্গে গিয়ে তিনি স্বামীর লাশ দেখতে পান। ফারুকের গলায়, বুকে, পিঠে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন তার স্ত্রী।
