রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

যে কোনো দিন সংরক্ষিত আসনের তফসিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি চলছে। যে কোনো দিন এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।

ইসির কর্মকর্তারা বলেছেন, ইতোমধ্যে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল এবং স্বতন্ত্র এমপিরা সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন সংক্রান্ত জোট বা সমর্থনের বিষয়টি ইসিকে জানিয়েছে। ইসি সচিবালয় নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। কমিশন আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসে এ নির্বাচনের তফসিলের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এ সপ্তাহের যে কোনো দিন বৈঠক হতে পারে। কোনো কারণে এ সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল না হলে আগামী সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, সংসদ সচিবালয় থেকে সংসদ সদস্যদের তালিকা ইসিতে পাঠানো হয়েছে। ভোটার তালিকা যেভাবে প্রকাশিত হয় সেভাবে এই ভোটার তালিকার খসড়া তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন। প্রকাশ হওয়ার পর যদি কোনো আপত্তি না থাকে, তবে এটিই হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। পরবর্তীতে কমিশনের অনুমোদনক্রমে তফসিল ঘোষণা হবে। তারপর নির্বাচনের প্রয়োজন হলে হবে, আর না হলে হবে না।

তফসিল ঘোষণা নিয়ে ইসি অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আমরা তফসিলের প্রস্তাবনা কমিশনে উঠাব। কমিশন অনুমোদন দিলে তফসিল ঘোষণা হবে। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, সরাসরি ভোটে জয়ী দলগুলোর আসন সংখ্যার অনুপাতে নারী আসন বণ্টন করা হয়। সংসদের সাধারণ আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনের ভোটার হন।

এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে ৫০টি সংরক্ষিত আসনের মধ্যে এবারে ৪৮টি পাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে স্বতন্ত্র এমপিদের আনুপাতিক হারে পাওয়া ১০টি আসনও থাকছে আওয়ামী লীগের ভাগে। সংসদে নৌকা প্রতীকে জয় পাওয়া ২২৫ এমপির হিসেবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী আনুপাতিক হারে নিজেরা পচ্ছে ৩৮টি সংরক্ষিত আসন। ৬২ স্বতন্ত্র এমপির সঙ্গে মতৈক্য হওয়ায় তাদের প্রাপ্ত ১০ আসনেও আওয়ামী লীগই প্রার্থী দেবে। বাকি দুটি সংরক্ষিত আসন পাচ্ছে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। এদিকে ১৪-দলীয় শরিকদের জোটবদ্ধ করার এবং স্বতন্ত্রদের সমর্থনের চিঠি নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

গত ৭ জানুয়ারি সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হয় ২৯৯ আসনে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ২২৩টি, ১৪-দলীয় শরিক জাসদ একটি, ওয়ার্কার্স পার্টি একটি, কল্যাণ পার্টি একটি আসন পেয়েছে। জাতীয় পার্টি ১১টি আসন পেয়ে আবারও প্রধান বিরোধী দল হয়েছে। তবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬২টি আসন পেয়েছেন স্বতন্ত্র এমপিরা। নিয়ম অনুযায়ী স্বতন্ত্র এমপিরা জোটবদ্ধ হলে সংখ্যানুপাতিক হারে ১০টি সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী মনোনয়নের সুযোগ পেতেন। নির্বাচনের পর থেকে সেই আলোচনাই ঘুরে ফিরে আসছিল।

সর্বশেষ খবর