বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
জাল নথিতে প্লট

রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ১১ জন আসামি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক দুই চেয়ারম্যানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ, পরিত্যক্ত সম্পত্তি জালিয়াতির মাধ্যমে মিথ্যা রেকর্ডপত্র তৈরি করে হস্তান্তর, অনুমতি ও নামজারি অনুমোদন করে ওই সম্পত্তি আত্মসাৎ করা হয়েছে। গতকাল দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক ইয়াছির আরাফাত মামলাটি করেন। মামলার আসামিরা হলেন- রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন খাদেম ও প্রকৌশলী এম আজিজুল হক, সাবেক সদস্য (এস্টেট) লে. কর্নেল (অব.) এম নুরুল হক, সাবেক পরিচালক আবদুর রহমান ভূঁঞা, সাবেক উপপরিচালক (এস্টেট) মো. আজহারুল ইসলাম, রাজউকের সহকারী পরিচালক (নিরীক্ষা ও বাজেট) শাহ মো. সদরুল আলম ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক মো. হাবিব উল্লাহ। অন্যদিকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সহকারী সচিব আবদুস সোবহান, সাবেক শাখা সহকারী মো. মাহবুবুল হক এবং কক্সবাজারের রামুর বাসিন্দা মীর মোহাম্মদ হাসান ও তার ভাই মীর মো. নুরুল আফছারকে আসামি করা হয়েছে। জানা গেছে, ওই সম্পত্তিতে গড়ে তোলা রাজধানীর গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বর সড়কের ২৭/বি নম্বর বাড়িটির মালিক খুলনা-৪ আসনের এমপি এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট সালাম মুর্শেদী। তার বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ থাকলেও তাকে বাদ দিয়েই মামলাটি করা হয়েছে। নথি জালিয়াতির মাধ্যমে সালাম মুর্শেদীকে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মালিকানাধীন বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়- এমন অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ২০২২ সালের ১১ আগস্ট দুদকে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। দুদক আবেদন আমলে না নেওয়ায় একই বছরের ৩০ অক্টোবর হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন তিনি। ২০২২ সালের ১ নভেম্বর এ সংক্রান্ত রিটের শুনানিতে ১০ দিনের মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজউক চেয়ারম্যান এবং আবদুস সালাম মুর্শেদীকে হলফনামা আকারে নথি দাখিল করতে বলেন হাই কোর্ট। একই সঙ্গে রুলে পরিত্যক্ত সম্পত্তির ‘খ’ তালিকাভুক্ত বাড়িটি বেআইনিভাবে দখল করার অভিযোগে আবদুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, রাজউক চেয়ারম্যান, দুদক চেয়ারম্যান, ঢাকার জেলা প্রশাসক ও আবদুস সালাম মুর্শেদীকে রুলের জবাব দিতে বলেন হাই কোর্ট। এরপর দুদক অভিযোগটি আমলে নেয়।

দুদক বলছে, পরবর্তীতে উপপরিচালক ইয়াছির আরাফাত ও জেসমিন আক্তারের সমন্বয়ে অনুসন্ধানী টিম গঠিত হয়।

সর্বশেষ খবর