বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
মন্ত্রীর সঙ্গে পিটার হাসের বৈঠকে বিমান বিক্রির প্রসঙ্গ

ঢাকা-নিউইয়র্ক সরাসরি ফ্লাইট চালুর আলোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা-নিউইয়র্ক সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দফতরে পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মন্ত্রী এ তথ্য জানিয়েছেন।

বৈঠক শেষে পিটার হাস সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারি অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও সামনে এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কিছু প্রক্রিয়া বাকি আছে আমরা তা দ্রুত শেষ করতে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি ও বাংলাদেশ বিমানকে সহায়তা করব। রাষ্ট্রদূত এসময় আরও বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নতুন উড়োজাহাজ কেনার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি বোয়িং তার প্রস্তাব জমা দিয়েছে। আমরা চাই বোয়িং যেন এই উড়োজাহাজ কেনার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে এবং এই প্রক্রিয়াটি যেন একটি স্বচ্ছ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। বিমানমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, নিউইয়র্কের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইটের বিষয়ে আমাদের আলোচনায় রাষ্ট্রদূত জানিয়েছে যে, খুব তাড়াতাড়ি তাদের একটি টিম আসবে, সেই টিম এসে এটি ফাইনাল করবে। ফারুক খান আরও বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন ও এভিয়েশনকে এগিয়ে নিতে দুই দেশ আগেও একসঙ্গে কাজ করেছি এবং ভবিষ্যতে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে আমরা একমত। যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে আমাদের এ দুটি খাতে আরও সাহায্য করতে পারে তা আমরা তাদের কাছে জানতে চেয়েছি। বোয়িং কেনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিমানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই চায় যে বাংলাদেশ বিমানে আরও বোয়িং উড়োজাহাজ যুক্ত হোক। তবে আমরা আর্থিক ও কারিগরি দিকসহ সবকিছু বিবেচনা করে যেটি ভালো হবে সেই সিদ্ধান্ত নেব। বোয়িং বা এয়ারবাস যে কোম্পানি থেকে কিনলে বাংলাদেশের জন্য সুবিধা হবে আমরা সেখান থেকেই কিনব। নিউইয়র্কের সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়ে এফএএ অডিট কবে নাগাদ সম্পন্ন হতে পারে সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে ফারুক খান বলেন, বর্তমানে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষে আইকাও এর একটি অডিট টিম কাজ করছে। তারা যাওয়ার পর আমরা একটা সুবিধাজনক সময় এফএএ কে অডিটের জন্য আমন্ত্রণ জানাব। তবে তা এ বছরই হবে।

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সরাসরি আকাশ যোগাযোগ স্থাপনের আগ্রহ : এরপর বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার নার্দিয়া সিম্পসন মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সে সময় অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার বর্তমানে অস্ট্রেলিয়াতে ৮০ হাজার বাংলাদেশি প্রবাসী বসবাস করে উল্লেখ করে বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সরাসরি আকাশ যোগাযোগ স্থাপনের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে একত্রে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগকারীরা আমাদের দেশে পর্যটনের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আমরা তাদের সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করব। বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সরাসরি আকাশ যোগাযোগ স্থাপনের বিষয়টিও ভেবে দেখা হবে।

 

সর্বশেষ খবর