মিয়ানমার পরিস্থিতিতে কার্যকর কূটনৈতিক পদক্ষেপ না নিলে দেশের জন্য বড় সমস্যা হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। গতকাল জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে দেওয়া বক্তব্যে মুজিবুল হক চুন্নু এ আশঙ্কা প্রকাশ করে মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে সংসদে বিবৃতির দাবি জানিয়েছেন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। মুুজিবুল হক চুন্নু বলেন, মিয়ানমারে সংঘাত চলছে। আমাদের এ রকমই অবস্থা যে ওখান থেকে গুলি এসে আমাদের দুজন মারা গেছে এবং মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৬৪ সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশের মধ্যে ঢুকতে বাধ্য হয়েছে। তারা আত্মসমর্পণ করেছে। বর্তমানে তারা আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিবির তত্ত্বাবধানে আছে। প্রশ্ন হলো- আরাকানদের সঙ্গে যুদ্ধটা যেভাবে শুরু হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে এটি অনেক দীর্ঘস্থায়ী হবে। যদি তাই হয়, তাহলে আমাদের দেশে যে ১২ লাখ রোহিঙ্গা আছে তাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি অনেকটা অনিশ্চিত অবস্থায় চলে আসছে। মুজিবুল হক চুন্নু আরও বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে উপস্থিত নেই। মানুষ উদ্বেগের মধ্যে আছে। কারণ যুদ্ধের যে অবস্থা, আমরা ধৈর্য ধরব, ঠিক আছে কিন্তু ধৈর্য আমরা কতটুকু ধরব এবং আমরা কী কী পদক্ষেপ নিয়েছি। আমার মনে হয় ধৈর্য তো ধরবই কিন্তু আমরা যদি শিগগিরই কার্যকর কোনো কূটনৈতিক পদক্ষেপ না নিই তাহলে বড় সমস্যা হবে। কারণ যেভাবে সেখানে যুদ্ধ হচ্ছে দেখা যাবে এভাবে লোক আসবে যে আমরা পুশব্যাক করেও পারব না, অবস্থাটা এ রকম হবে। এখন থেকে যদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিই তাহলে এ সমস্যাটা প্রকট আকার ধারণ করবে। জাতি বা দেশের মানুষ একটা উদ্বেগের মধ্যে আছে। তিনি বলেন, যেহেতু সংসদ জাতির সব কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্র এবং যেহেতু আমরা প্রজাতন্ত্রের মালিকের পক্ষে প্রতিনিধি। এখানে দেশের মানুষের জানার অধিকার আছে যে, কীভাবে আমরা এটি মোকাবিলা করছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলব বর্ডারের অবস্থার তার ওপর সার্বিক একটি ব্যাখ্যা, ৩০০ বিধিতে জাতিকে যাতে অবহিত করেন সেই দাবি জানাচ্ছি।