বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

চুরির নাটক সাজিয়ে ধর্ষণ মা মেয়েকে

নোয়াখালী প্রতিনিধি

সুবর্ণচরের আলোচিত ঘটনা সম্পর্কে নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, চুরির নাটক সাজিয়ে অভিযুক্তরা মা-মেয়েকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করেন। গ্রেফতারের পর এ কথা স্বীকার করেছেন দুই আসামি।

গতকাল দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান তার নিজ সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চরওয়াপদা ইউনিয়নে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে ধর্ষণের পর তা চুরির ঘটনা হিসেবে সাজানোর চেষ্টা করেছেন আসামিরা। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য আবুল খায়ের মুন্সি ও মো. মেহেরাজকে গ্রেফতারের পর তারা এসব কথা স্বীকার করেছেন। আসামিদের বিকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল খায়েরকে এরই মধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদিকে গ্রেফতার মেহেরাজ বিকালে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। প্রধান আসামি বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা আবুল খায়ের ওরফে মুন্সি মেম্বারের বিরুদ্ধে রিমান্ড চেয়ে আদালতে সাত দিনের আবেদন করেছে পুলিশ। আজ রিমান্ডের শুনানি হবে বলে জানান পুলিশ সুপার। গতকালের প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপিস্থত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন, নাজমুল হাসান রাজীব, সহকারী পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাসসহ পুলিশের কর্মকর্তারা। পুলিশ সুপার বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে ধর্ষণই মূল উদ্দেশ্য ছিল আসামিদের। হারুনের সহযোগিতায় ওই নারীকে আবুল খায়ের মুন্সি ধর্ষণ করেন। তিনি সরে গেলে হারুন তাকে পুনরায় পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। মেহেরাজ পাশের রুমে থাকা ওই নারীর মেয়েকে (১২) ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ শেষে ফিরে যাওয়ার সময় তারা কানে থাকা দুল ও ঘরের টাকা নিয়ে যান। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে সাবেক ইউপি সদস্য আবুল খায়ের মুন্সিকে প্রধান আসামি, হারুনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। তাৎক্ষণিক পুলিশ আবুল খায়েরকে জেলা শহরের একটি বাসার পাশে রাস্তা থেকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে বুধবার ভোর ৩টার দিকে চরক্লার্ক থেকে মেহেরাজকে গ্রেফতার করা হয়।

জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির প্রতিবাদ : বাংলাদেশ প্রতিদিনে বুধবার প্রকাশিত ‘সেই সুবর্ণচরে দলবদ্ধ ধর্ষণ মা-মেয়েকে/অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার জেলা সভাপতির বাসা থেকে’ শীর্ষক খবরের প্রতিবাদ জানিয়ে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম বলেছেন, ‘আবুল খায়ের আমার বাসা থেকে গ্রেফতার হননি, অন্য কোথাও থেকে গ্রেফতার হয়েছেন।’

 

সর্বশেষ খবর