বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে সরকার বিচ্ছিন্ন : বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে দাবি করেছে বিএনপি স্থায়ী কমিটি। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ সরকারের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র। বাংলাদেশ এখন ক্রসফায়ারের মুখে। প্রতিবেশী দুটি দেশের সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিক হত্যার ঘটনার উল্লেখ করে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ দাবি করেন। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট এই সরকার নিজ অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে অবৈধ অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক সুবিধা দিয়ে আদায় করেছে ভারত, চীন ও রাশিয়ার সমর্থন। রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইমলাম খান, ড. আবদুল মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আবদুল আউয়াল মিন্টু, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. সিরাজুল ইসলাম, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, তাহসিনা রুশদীর লুনা, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, হারুন অর রশিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি, অসম দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, নামমাত্র মূল্যে ট্রানজিট সুবিধা, পানি সমস্যার সমাধানহীনতা, গোপন আদানি চুক্তিসহ, জাতীয় স্বার্থবিরোধী অজস্র প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও আন্তর্জাতিক লবিংয়ের কারণে আজকে দেশের এই অবস্থা। যার প্রমাণস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই বলেছিলেন, ‘ভারতকে যা দিয়েছি সারা জীবন মনে রাখবে’ এবং ওবায়দুল কাদের দাবি করেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় ভারতই আওয়ামী লীগের পাশে দাঁড়িয়েছিল’। এক প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, একদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে আরম্ভ করে সীমান্তে প্রতিনিয়ত গুলিবর্ষণের মাধ্যমে আমাদের বিজিবি সদস্য ও দেশের জনগণকে হত্যা করছে। আবার পূর্ব দিক থেকে মিয়ানমারের পুলিশ ও সেখানকার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গোলাগুলিতে এ পর্যন্ত দুজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছে। ঝাঁকে ঝাঁকে রাখাইন থেকে সেনা পলায়ন করে এখানে আশ্রয় গ্রহণ করছে। বাংলাদেশ এখন ক্রসফায়ারের মুখে। এটি নিয়ে শুধু আমাদের নয়, আপনাদেরও (সাংবাদিকদের) ভাবতে হবে যে কী ঘটতে যাচ্ছে, এর অন্তরালে কী আছে। গয়েশ্বর রায় আরও বলেন, বিএনপির মতো একটি সফল গণতান্ত্রিক দলকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত হয়েছে সরকার ও তার অধীনস্থ রাষ্ট্রযন্ত্রের চিহ্নিত অংশ। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি প্রহসনমূলক নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি। রাষ্ট্র পরিচালনায় সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ এ সরকারের অপশাসন থেকে মুক্তি চায় বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ। জনগণের প্রত্যাশা, বিএনপির আন্দোলনের মাধ্যমে জনবিদ্বেষী ফ্যাসিবাদের পতন ঘটবে এবং দেশে আবারও সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পাবে।

 

সর্বশেষ খবর