বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

বিএনপিকে নিষিদ্ধের চিন্তা নেই : ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, বিএনপিকে নিষিদ্ধ করার কোনো চিন্তা মাথায় নেই। যাদের জনসমর্থন আছে তারা সবাই উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বলে মনে করেন এই নির্বাচন কমিশনার। আসন্ন উপজেলা পরিষদের নির্বাচন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে ভালো হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেভাবে করেছি, উপজেলা নির্বাচন তার চেয়ে ভালোভাবে করব। গতকাল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন চার ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের ভোট আগামী ৪ মে হবে। ১১ মে দ্বিতীয়, ১৮ মে তৃতীয় এবং ২৫ মে চতুর্থ ধাপের ভোট গ্রহণ হবে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি না এলে ইসি বিএনপিকে নিষিদ্ধ করবে কি না প্রশ্নের জবাবে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, এ ধরনের কোনো বিষয় আমাদের মাথায় নেই। ইসি আলমগীর বলেন, জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে ৩০০ আসনে করতে হয়েছে। আমাদের ৩০০ জায়গায় এফোর্ট করতে হয়েছে। আমরা এখানে কমপক্ষে ৪ ধাপ করব। প্রতি ধাপে ১০০ বা এর কাছাকাছি ভোট হবে। সেক্ষেত্রে আমাদের এফোর্ট বেশি থাকবে। আমরা আশা করি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। ইতিহাস বলে স্থানীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেশি হয়। স্থানীয় পর্যায়ে অনেক অংশগ্রহণ থাকে, যার কারণে ভোটের মাঠে অটোমেটিক ব্যালান্স তৈরি হয়। সেখানে আমরা এফোর্ট দিলে সুষ্ঠু ভোট হবে বলে আমরা মনে করি। উপজেলা নির্বাচন আইনের সংশোধনী প্রসঙ্গে এ কমিশনার বলেন, উপজেলা নির্বাচনের আচরণবিধিতে কিছু কিছু অসংগতি ও অস্পষ্টতা আছে। সংশোধনের জন্য পর্যালোচনা করছে নির্বাচন কমিশন। উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি আসবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা কিছুই বলতে পারি না। কারণ, এখনো নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করা হয়নি। যেহেতু শিডিউল ঘোষণা হয়নি, আর তারা আসবেন কি আসবেন না বলেননি, এ বিষয়ে অগ্রিম বলা যাচ্ছে না। দলীয় প্রতীকে ভোট না হলেও অংশগ্রহণমূলক ভোট হতে যাচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক বিশ্লেষক যারা আছেন বিষয়টি তারা ভালো বলতে পারবেন। আমরা আশা করি, যারা যোগ্য প্রার্থী যাদের জনসমর্থন রয়েছে। তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে আমরা যেটা করতে পারব। একটা সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন যাতে হয় সে চেষ্টা আমরা করব। বিএনপির কি তাহলে কোনো জনসমর্থন নেই? এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি বলেন, সেটা তারাই ভালো বলতে পারবে। আমাদের আহ্বান হলো যাদের জনসমর্থন আছে বলে মনে করেন তারা নির্বাচনে অংশ নেবেন। ইসির ওপর বিএনপির আস্থা নেই? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেই অধিকার তো তাদের আছেই, রাজনৈতিক দলের নেতারা কী সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটা তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্তে নির্বাচন কমিশনের কোনো হাত নেই। আমাদের আয়োজন থাকে সবার জন্য, কিন্তু কে সাড়া দেবেন, কে দেবেন না সেটা আমরা নির্ধারণ করতে পারি না। উপজেলা নির্বাচনের তফসিল হয়ে গেছে, ঘোষণার পর কেন মনে হলো আইন সংশোধন করা দরকার? নাকি সরকার চাইছে? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, আমরা আসলে কোনো আইন সংশোধন করতে চাইনি। আচরণ বিধিমালায় কিছু কিছু জায়গায় অসংগতি আছে, কিছু অস্পষ্ট আছে; এগুলো যারা প্রয়োগ করতে চান তারা ফিডব্যাক দিয়েছেন, সেই ফিডব্যাকের পর এগুলো পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। সে ব্যাপার যেহেতু আচরণবিধিমালা শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশন সংশোধন করতে পারে, এ ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয় একটা ভেটিং লাগে, সেটা পেলে আমরাই জারি করতে পারি।

সর্বশেষ খবর