শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে মারল ছাত্রলীগ নেতা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামে শরিফুল ইসলাম সোহান (৪০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভী কবির চৌধুরী বিন্দুর বিরুদ্ধে। কুড়িগ্রাম শহরের খলিলগঞ্জ বাজার এলাকায় গতকাল রাতে এ ঘটনা ঘটে। সোহান পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও শহরের হাটিরপার এলাকার আমজাদ হোসেন বুলুর ছেলে। তিনি বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে জেলা মোটরমালিক সমিতি, এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। প্রধান অভিযুক্ত বিন্দুকে পুলিশ আটক করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শহরের অভিনন্দন কনভেনশন সেন্টারের সামনে একটি জিপগাড়ি নিয়ে সোহানসহ তিনজন দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় দ্রুতগামী একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জিপের পাশে ছিটকে পড়ে। মোটরসাইকেলে থাকা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের দুই নেতা সিয়াম ও রিয়াদ আহত হন। জিপের আশে দাঁড়িয়ে থাকা তিনজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। সোহানের সঙ্গে থাকা বন্ধু খন্দকার রেদোয়ান মাহমুদ বলেন, আমরা শহরের দিকে আসার সময় কয়েকটি মোটরসাইকেলে এসে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভী কবির চৌধুরী বিন্দুসহ তার দলবল জিপের গতিরোধ করে। কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হয় সোহান। আমাদের নামিয়ে দিয়ে গাড়িতে করে সোহানকে ছাত্রলীগ নেতা বিন্দুই সদর হাসপাতালের দিকে নিয়ে যান। হাসপাতালের সামনে এসে বিন্দু ও তার লোকজন আবার সোহানকে মারধর শুরু করেন। আমরা এসে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ব্যক্তিগত কাজে আমি ঢাকায় রয়েছি। ঘটনা জেনেছি। বিন্দুর সঙ্গে কথা হয়েছে। সে নিজের দায় অস্বীকার করেছে। কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাজু আহমেদ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে হত্যায় জড়িতদের বিচার দাবি করা হয়েছে। কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সদর থানার ওসি মাসুদুর রহমান জানান, অভিযুক্ত বিন্দু পুলিশের হেফাজতে আছেন। স্বজনরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

সর্বশেষ খবর