সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

দেশে ১০২৭ অবৈধ হাসপাতাল ক্লিনিক

হাই কোর্টে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

সারা দেশে লাইসেন্সবিহীন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাডব্যাংকের সংখ্যা ১ হাজার ২৭। আর লাইসেন্সধারী বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাডব্যাংকের সংখ্যা ১৫ হাজার ২৩৩। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের (স্বাস্থ্যসেবা) পক্ষ থেকে হাই কোর্টে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য এসেছে বলে গতকাল জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষারকান্তি রায় শুনানিতে ছিলেন। পরে তুষারকান্তি রায় বলেন, সারা দেশে লাইসেন্স ও অনুমোদনহীন কতগুলো হাসপাতাল রয়েছে তার তথ্যসংবলিত তালিকা স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের (স্বাস্থ্যসেবা) পাঠানো প্রতিবেদনে এসেছে। আদালত আগামী রবিবার শুনানির জন্য রেখেছেন। এর মধ্যে প্রতিবেদনটি হলফনামা করে আদালতে দাখিল করা হবে। রাজধানীর বাড্ডার সাঁতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনার পর পাঁচ বছর বয়সী শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১৫ জানুয়ারি বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে শিশু আয়ানের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করে সাত দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে (স্বাস্থ্যসেবা) নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে সারা দেশে লাইসেন্স ও অনুমোদনহীন কতগুলো হাসপাতাল রয়েছে তার তালিকা এক মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে (স্বাস্থ্যসেবা) নির্দেশ দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২৮ জানুয়ারি বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের পক্ষে খতনা করতে গিয়ে আয়ানের মৃত্যুসংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধান প্রতিবেদন  আসার তথ্য সেদিন আদালতকে জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। অন্যদিকে গত ১৫ বছরে চিকিৎসার অবহেলায় ইউনাইটেড হাসপাতালে কতগুলো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশনা চেয়ে সম্পূরক আবেদন তুলে ধরে রিট আবেদনকারী পক্ষ। শুনানি নিয়ে ২৮ জানুয়ারি হাই কোর্ট ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসার অবহেলায় ১৫ বছরে কত মৃত্যু ঘটেছে, অনুসন্ধান করে তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে (স্বাস্থ্যসেবা) নির্দেশ দেন। পরদিন ২৯ জানুয়ারি শিশু আয়ানের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানবিষয়ক স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের পক্ষে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়।

সেদিন শুনানিতে রিট আবেদনকারী আইনজীবী বলেন, এটি ম্যানিপুলেট রিপোর্ট। অধিকতর তদন্ত চাই। তখন তাকে আদালত বলেন, হলফনামা আকারে বক্তব্য দাখিল করেন। প্রয়োজনীয় আদেশের জন্য ১১ ফেব্রুয়ারি বিষয়টি কার্যতালিকায় আসবে বলে উল্লেখ করেন আদালত। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল বিষয়টি শুনানি হয়। সারা দেশে লাইসেন্স ও অনুমোদনহীন কতগুলো হাসপাতাল রয়েছে তার তালিকা এসেছে বলে আদালতকে জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। অন্যদিকে রিট আবেদনকারী আইনজীবী হলফনামা আকারে বক্তব্য দাখিলে শর্ট পাসওভার (স্বল্প সময়ের জন্য মুলতবি) চান। পরে আদালত ১৮ ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন রাখেন।

সর্বশেষ খবর