সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

জিআই পণ্য নিয়ে সবাইকে তৎপর হওয়ার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জিআই পণ্য নিয়ে সবাইকে তৎপর হওয়ার নির্দেশ

ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য নিয়ে তৎপর হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার কথা তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, একটি নির্দেশনা তিনি দিয়েছেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে জিআই পণ্যগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে তিনি সংশ্লিষ্টদের তৎপর হওয়ার জন্য বলেছেন। সবাইকে তৎপর হয়ে আমাদের যে পণ্য আছে সেগুলোর বিষয়ে যাতে উদ্যোগ নিয়ে করে ফেলা হয় সেটি বলেছেন।

সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বহুল আলোচিত টাঙ্গাইল শাড়িসহ সদ্য নিবন্ধিত তিনটি পণ্যের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ হস্তান্তর করেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা। পণ্য তিনটি হলো- টাঙ্গাইল শাড়ি, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা ও গোপালগঞ্জের রসগোল্লা। এ সময় সনদের সঙ্গে একটি টাঙ্গাইল শাড়িও প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন তারা। তিনটি পণ্যের জার্নাল প্রকাশ করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সেগুলোর কপি প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে। ভারত সরকারের টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই নির্দেশক পণ্য হিসেবে সনদ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, এ রকম কনফ্লিকটেড কিছু যদি থাকে, সেজন্য একটা আন্তর্জাতিক সংস্থা আছে। এ রকম কিছু থাকলে আমরা সেখানে যেন সেগুলো উপস্থাপন করি, সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভারতের শিল্প মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ‘বাংলার টাঙ্গাইল শাড়ি’ বা ‘টাঙ্গাইল শাড়ি অব বেঙ্গল’ নামে একটি শাড়িকে জিআই স্বীকৃতি দেয়। ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশন (ডব্লিউআইপিও) এর কাছ থেকে অনুমোদনও পেয়ে যায় তারা। বিষয়টি বাংলাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। টাঙ্গাইল বাংলাদেশের এলাকা এবং টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হওয়ার পরও ভারত কীভাবে তা নিজেদের পণ্য হিসেবে জিআই স্বীকৃতি পায়, সেটি প্রশ্ন তোলেন শাড়ি ব্যবসায়ী, আইনজ্ঞ ও অধিকার কর্মীরা। এরপর বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো উদ্যোগী হয়। টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন ৬ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতির আবেদন করে। পরে তা অনুমোদন করে গেজেট প্রকাশ করে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর।

সর্বশেষ খবর