সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
দুদক আইনজীবী

ভারতে বিচার শেষে পি কে হালদারকে দেশে আনা হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় গ্রেফতার গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক এমডি পি কে হালদারকে সেখানে চলমান বিচার শেষে দেশে ফিরিয়ে আনার আশা প্রকাশ করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী। গতকাল এ তথ্য জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

খুরশীদ আলম খান বলেন, দুদকের তথ্য সূত্র ধরে পিকে হালদার কলকাতায় গ্রেফতার হয়েছেন। আমরা আশা করছিলাম ছয় মাসের মধ্যে তাকে ফিরিয়ে আনা যাবে। কিন্তু সেখানে একটা বিচার শেষপর্যায়ে। এখন আরেকটা শুরু হয়েছে। বিচার শেষ হতে সময় লাগবে। আমরা আশা করছি বিচার শেষ হলে তাকে ফিরিয়ে আনতে পারব। কারণ তিনি সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। ভারত সরকারও বলেছে বিচার শেষ হলে তাকে পাঠিয়ে দেবে। এদিকে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং তা পাচারের মামলায় চার বছরের সাজার বিরুদ্ধে প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের বান্ধবী অনিন্দিতা মৃধা ও তার বাবা সুকুমার মৃধা হাই কোর্টে আপিল করেছেন। আপিলে তারা সাজা বাতিল চেয়েছেন। গতকাল বিচারপতি জাফর আহমদের নেতৃত্বাধীন হাই কোর্ট বেঞ্চে এ আপিল দায়ের করা হয়েছে। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত বছরের ৮ অক্টোবর গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারকে দুই মামলায় ২২ বছরের কারাদন্ড দেন আদালত। ৪২৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং তা পাচারের মামলায় তাকে কারাদন্ড দেওয়া হয়। রায়ে পিকে হালদার ছাড়াও অন্য ১৩ আসামিকে দুই মামলায় তিন ও চার বছর করে মোট সাত বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। দন্ডিত আসামিদের মধ্যে চারজন কারাগারে আছেন। তারা হলেন- অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা। এ ছাড়া পিকে হালদারসহ অন্য ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন। পলাতক আসামিরা হলেন- পিকে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, ভাই প্রিতিশ কুমার হালদার, সহযোগী অমিতাভ অধিকারী, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।

সর্বশেষ খবর