বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

আর কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আর কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া অস্ত্র গোলাসহ বিদ্রোহী যোদ্ধারা ছবি : ইরাবতী ডটকম

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, এমনিতেই ১২ লাখ রোহিঙ্গা আমাদের এখানে রয়েছে। রোহিঙ্গা বা অন্য কেউ যেই আসুক, মিয়ানমার থেকে আমরা কাউকে আর ঢুকতে দেব না। এখানে সেটেল হতে দেব না। যারা আত্মরক্ষার্থে এখানে আসছে তাদের সরকারকে (মিয়ানমার) বলেছি নিয়ে যেতে। তারা নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সঙ্গে তাদের কোনো কনফ্লিক্ট নেই, কোনো ধরনের যুদ্ধ নেই, তারা আত্মরক্ষার্থে এখানে এসেছেন। গতকাল রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ‘হাইওয়ে পুলিশের সেবা সপ্তাহ-২০২৪’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েতুল্লাহ ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী খান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হাইওয়ে পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, মিয়ানমারের চারদিকেই যুদ্ধ লেগে আছে। বাংলাদেশ সীমানায় আরাকান আর্মির সঙ্গে তাদের বাহিনীর যুদ্ধ চলছে। আমরা দেখছি তাদের এই যুদ্ধ এতটাই তীব্র হয়েছে যে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), সরকারি কর্মকর্তা, ধারণা করছি দুই-একজন সেনা সদস্যও আমাদের এখানে ঢুকে পড়েছেন। এদের মধ্যে কেউ অস্ত্র নিয়ে এসেছেন। কেউ বা অস্ত্র ছাড়া। তবে তারা এসেছেন জীবন রক্ষার জন্য, যুদ্ধের জন্য আসেননি। এরপর আমাদের বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা তাদের অস্ত্রগুলো রেখে আটক অবস্থায় আমাদের এখানে রেখেছে। এদের মধ্যে যারা আহত, তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা তাদের ফেরত নিতে জানিয়েছি। তারা অতি শিগগিরই জাহাজে করে নিয়ে যাবে বলে বার্তা পাঠিয়েছে। আশা করছি, দুই-একদিনের মধ্যেই তাদের সদস্যদের তারা ফেরত নিয়ে যাবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্তে আমাদের বিজিবি, পুলিশ, কোস্টগার্ড সবাই অতন্দ্রপ্রহরীর মতো কাজ করছে। সেখানে যুদ্ধ হচ্ছে, এ সীমানায় তাদের কেউ আসবে বলে মনে হচ্ছে না। তারপরও যদি কেউ আসতে চেষ্টা করে তবে আমাদের এখানে প্রবেশ করতে পারবে না। ঢুকতে দেওয়া হবে না। সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হাইওয়ে পুলিশের প্রশংসা করে বলেন, তারা মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা বজায় রাখা, সড়ক দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর, নির্মাণাধীন মহেশখালী মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপন, সরকারি ও বেসরকারি ১০০টি ইকোনমিক জোন, নৌ বন্দরসমূহের সংযোগ সড়ক এবং গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রসহ মহাসড়কের সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হাইওয়ে পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

সভাপতির বক্তব্যে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, যে কোনো অনিময়ের বিরুদ্ধে আমরা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করছি। কোনো পুলিশ সদস্য অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকলে তার ক্ষেত্রেও নমনীয় নীতি দেখানো হয় না। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তিনি আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সুফল মানুষের মাঝে পৌঁছে দিতে হাইওয়ে পুলিশ সীমিত জনবল দিয়ে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে।

সর্বশেষ খবর