জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সম্প্রতি সংঘটিত সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তিসহ পাঁচ দফা দাবিতে ২ ঘণ্টা ধরে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। গতকাল ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ’র ব্যানারে সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এ অবরোধ চলে। অবরোধ চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এ সময়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকেও তার কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি। অবরোধ চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামছুল আলম সেলিম বলেন, ‘প্রশাসন বলেছিল পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে অছাত্রদের হল থেকে বের করা হবে। কিন্তু তারা তা পারেনি। শুনেছি, সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভূত পরিস্থিতির বিষয়ে প্রশাসন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছে। এখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কী করবেন? হল প্রশাসন যদি কাজ করে, তাহলেই সমস্যার সমাধান হয়। কিন্তু তারা কেউ কাজ করছেন না।’
এ সময়, জাবির ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলি, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমেনা ইসলাম, পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক নুরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আন্দোলনকারীদের অন্য দাবিগুলো হলো- জাবির আবাসিক হল থেকে অছাত্রদের বের করা, নিপীড়নের ঘটনায় জাবির প্রোক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান ও প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাব্বির আলমের অপরাধ তদন্ত করা এবং তদন্ত চলাকালে প্রশাসনিক পদ থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া, যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত পাবলিক হেল্থ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার নিষ্পত্তি করা এবং ক্যাম্পাসে মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এদিকে দাবিগুলো আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ।