বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

সামাজিক ও নৈতিক শিক্ষার অভাব

ড. নূর মোহাম্মাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সামাজিক ও নৈতিক শিক্ষার অভাব

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মাদ বলেছেন, সামাজিক ও নৈতিক শিক্ষার অভাবে সামাজিক অস্থিরতা হয়। এ দুটির কারণে যে কোনো ধরনের অপরাধে মানুষ জড়িয়ে পড়ে। এদের প্রচুর টাকাপয়সা খরচ করার প্রয়োজন পড়ে। পরিবার এবং আত্মীয়স্বজনের নিকট থেকে সে অর্থ পায় না। তখন তারা অর্থ সংকটে পড়ে। তখন তারা চুরি ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। এদের গ্যাং এবং গ্রুপ দ্বারা এ ধরনের কাজ তারা করে। সুস্থ বিকাশ না হলে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। সমাজে কোনটা করা উচিত কোনটা করা উচিত না এগুলোকে তারা পৃথক করতে পারে না। যার ফলে হত্যা, ডাকাতি, চুরি, ছিনতাই, মারামারি, খুনোখুনি হয়। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ব্যক্তির আবেগ আচারআচরণ নির্ভর করে তার বিকাশের ওপর। একজন মানুষ যেভাবে বিকশিত হওয়া উচিত সমাজের আইনশৃঙ্খলা জানা উচিত তাদের ক্ষেত্রে সেভাবে হয়নি। এ কারণে একজন মানুষ অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। একজন মানুষের সামাজিকীকরণ ঠিকমতো না হওয়ার কারণে এ ধরনের সমস্যা হয়। শিক্ষা ঠিকমতো না হওয়ার কারণে সে জানে না কোথায় কি ধরনের আচরণ করতে হবে। তার মধ্যে এ ধরনের বিবেক কাজ করে না। যার কারণে এ ধরনের মানুষ সমাজে বিশৃঙ্খলা করে থাকে। পরবর্তীতে এ মানুষটা কর্মক্ষেত্রে বা যে কোনো জায়গায় একই বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন মানুষ পেয়ে গেলে তারা গ্রুপ করে ফেলে। তিনি বলেন, নানা ধরনের অপকর্মের গ্যাং তারা তৈরি করে ফেলে। এরপর তারা অরাজকতাসহ অসামাজিক কাজগুলো করে। এরা কোনো নিয়মকানুন মানে না। তারা মনে করে রাষ্ট্র যে নিয়মকানুন তৈরি করেছে তা ঠিক নয়। তারা যে নিজস্ব নিয়মকানুন তৈরি করেছে তাই ঠিক। তারা নিজেকে সব সময় সঠিক মনে করে। আশপাশের মানুষের উপদেশ গ্রহণ করে না। এই অস্বাভাবিকতার কারণে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়। এরা সংসার জগতে গেলেও এদের আচরণের বহির্প্রকাশ ঘটে। তখন তারা সংসারের নিয়ম কানুন মানতে চায় না। ফলে তাদের ব্যবহারের কারণে পরিবারের মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়। এরপর পরিবারে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এ ধরনের ছেলেমেয়েরা বিবাহবাহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি করে। তাদের মাথায় সব সময় মনে হয় তারা যেটা করছে তা ঠিক আছে।

সর্বশেষ খবর