শিরোনাম
শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

সাড়ে তিন মাস পর মুক্ত ফখরুল খসরু এ্যানী

আন্দোলন বিজয় না হওয়া পর্যন্ত চলবে : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাড়ে তিন মাস পর মুক্ত ফখরুল খসরু এ্যানী

সাড়ে তিন মাস কারাবন্দি থাকার পর মুক্তি পেলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু -বাংলাদেশ প্রতিদিন

দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস কারাবন্দি থাকার পর মুক্তি পেলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গতকাল বিকাল পৌনে ৪টায় কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রথমে মহাসচিব মির্জা ফখরুল এবং ৪ মিনিট পর স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মুক্তি লাভ করেন। এর আগে দুপুরে মুক্তি পান দলটির প্রচার সম্পাদক ও বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা করতালি ও ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে নেতাদের বরণ করেন। তিন হেভিওয়েট নেতার মুক্তির পর উপস্থিত নেতা-কর্মীদের ব্যাপক উজ্জীবিত দেখা যায়।

কারাফটকে নেতা-কর্মীদের হাত তুলে অভিবাদন জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সব সময় গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছে, লড়াই করেছে। এ সংগ্রামে তারা জয়ী হবে। গণতন্ত্র ফেরানোর চলমান আন্দোলন বিজয় না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকার প্রত্যয় দৃঢ়তার সঙ্গে প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, প্রহসনের নির্বাচনে আন্দোলনের কোনো ক্ষতি হয়নি। তারা ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন। ৭ জানুয়ারি একপক্ষীয় নির্বাচন করে সরকারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিএনপির কোনো ক্ষতি হয়নি। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ওরা রাষ্ট্রশক্তি কবজা করে ক্ষমতা দখল করেছে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা নির্বাচনে নৈতিকভাবে জনগণের কাছে পরাজিত হয়েছে। আমরা বলতে চাই, গণতন্ত্রের আন্দোলন অটুট থাকবে। যত দিন দেশে গণতন্ত্র ফেরত না আসবে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার না আসবে তত দিন এ সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে তাইফুল ইসলাম টিপু, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, নিপুণ রায়চৌধুরী, ফরহাদ হোসেন আজাদ, সাবেক এমপি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম, বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খানসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কয়েক শ নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। মহাসচিবের গাড়ি ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা মোটরবাইকে কর্ডন করে রাজধানীর গুলশানের বাসা পর্যন্ত পৌঁছে দেন।

মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন তাঁর সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগম ও একান্ত সহকারী ইউনুস আলী। আর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে ছিলেন ছেলে ইসরাফিল খসরু। দুজনই সরাসরি বাসায় যান। এর আগে দুপুর ২টার দিকে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান। গত বছরের ১০ অক্টোবর রাতে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে গ্রেফতার হন এ্যানী। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এখনো স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগরী উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবীর খোকন, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনসহ অন্তত ১৫ জন কেন্দ্রীয় নেতাসহ অনেক নেতা-কর্মী এখনো কারাগারে।

সর্বশেষ খবর