শিরোনাম
শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

সরকার অন্যায়ের সব সীমা অতিক্রম করেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকার অন্যায়ের সব সীমা অতিক্রম করেছে

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, এ সরকার এবং সরকারি দল অন্যায়ের সব সীমা অতিক্রম করেছে। আমরা যুগপৎ আন্দোলনে আছি। আরও জনগণকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। তিনি বলেন, সরকার যতই গলাবাজি করুক না কেন- এতে কোনো লাভ হবে না। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব কারাবন্দি মুক্তি পেয়ে জেল থেকে বেরিয়ে আসবে। আবার আন্দোলন জোরদার হবে। সরকারের পতন হবে। ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবে। জনগণের সরকার আসবে। চলমান আন্দোলনে সর্বস্তরের জনগণকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। গতকাল বিকালে রাজধানীর পল্টন মোড়ে গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা হাসনাত কাইয়ূম, শহিদুল্লাহ কায়সার, কামাল উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দেশে দুটো বড় ব্যাংক ছিল। একটি ইসলামী ব্যাংক আর অপরটি গ্রামীণ ব্যাংক। ইসলামী ব্যাংক আগেই সরকার গিলে ফেলেছে। সরকার তার বিশেষ বন্ধু এস আলমকে দিয়ে দিয়েছে। বিনিময়ে সে তার ক্ষমতাসীন বিশেষ বন্ধুকে ১৫ হাজার কোটি টাকা দিয়ে সাহায্য করেছে। আর দরবেশকে দিয়েছে ২২ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নতুন টাকা ছাপিয়েও তারা লুটপাট করেছে। ফলে দেশের অর্থনীতি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে মানুষ জর্জরিত। সরকারের সিন্ডিকেট দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে মানুষের রক্ত চুষে নিচ্ছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নিজে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করবেন বলেছেন। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। ডাকসুর সাবেক ভিপি মান্না বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক সারাবিশ্বে পরিচিত একটি ব্যাংক। দেশের একমাত্র নোবেল লরিয়েট ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিলে তিলে এই ব্যাংকটি গড়ে তুলেছেন। কিন্তু ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে তাঁর তিল তিল করে গড়ে তোলা এ প্রতিষ্ঠান থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। সরকারপন্থি গুণ্ডাদের শকুনের থাবা পড়েছে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠানগুলোতে। এ সরকার এবং সরকারি দল অন্যায়ের সব সীমা অতিক্রম করেছে।

মান্না বলেন, বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীতে দারিদ্র্য বিমোচনে ড. ইউনূসের যে অবদান তা বিশ্বের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। অথচ নিজের দেশে তিনি অবৈধ কর্তৃত্ববাদী সরকার দ্বারা চরম নিগৃহীত হচ্ছেন। তাঁর গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার অনেকদিন থেকেই। আগেই গ্রামীণ ব্যাংক দখল করেছে, এখন বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোকে দখল করে সেগুলোও ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে। এতে সারা দেশে সেবা পাওয়া এক কোটি দরিদ্র মানুষও অসহায় হয়ে পড়বে। তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো সম্মানিত, সারা বিশ্বে সমাদৃত, বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিকে অসম্মান করে স্বৈরাচার হাসিনা সরকার তাদের আসল চেহারা আরেকবার উন্মোচন করল।

সর্বশেষ খবর