রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

পাকিস্তানে সরকার গঠনে চমকের অপেক্ষা!

এখনো মেলেনি সমীকরণ

প্রতিদিন ডেস্ক

পাকিস্তানে সরকার গঠনে চমকের অপেক্ষা!

পাকিস্তানে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে ৮ ফেব্রুয়ারি। এরপর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশে সময় লাগানো হয়েছে তিন দিন। তাতে দেখা গেছে, এককভাবে সরকার গঠনের জন্য কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে জোট গঠন নিয়ে যখন কোনো দলই ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারছে না, তখনই হঠাৎ গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠার খবর এসেছে। বলা হচ্ছে, তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজকে (পিএমএল-এন) ঠেকাতে মাঠে নেমেছে। এতে করে রাজনৈতিক সমীকরণে যোগ হয়েছে আরও জটিলতা। খবর অনুযায়ী, দেশটিকে এখন নতুন সরকার গঠন নিয়ে চমকের অপেক্ষা করা হচ্ছে। সূত্র : জিও নিউজ, ডন, ইন্ডিয়া টুডে, এনডিটিভি, রয়টার্স

পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলোর খবরে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, রাজনীতিতে হঠাৎই সক্রিয় হয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। তারা নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পিএমএল-এনকে ঠেকাতে ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)-কে এক করতে চাইছে। আর এরকম হলে এই জোট সরকারে এক সময়ের ইমরান-ঘনিষ্ঠ মুত্তাহিদ কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএমপি) যোগ দিতে পারে। এর ফলে শাহবাজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী এবং বিলাওয়ালের বাবা আসিফ আলী জারদারিকে প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত করে নওয়াজ শরিফ কর্তৃত্ব করার যে পরিকল্পনা করেছিলেন, তা ভণ্ডুল হয়ে যেতে পারে। আরেক খবর অনুযায়ী, নির্বাচনের পর সরকার গঠন নিয়ে নতুন করে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন পিএমএল-এনের জ্যেষ্ঠ নেতারা। তাদের একাংশের ভাষ্য, পাকিস্তান এখন সার্বিকভাবে খুবই টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে এবং এখন সরকার গঠনের মানে হলো ‘স্বেচ্ছায় মাথায় কাঁটার মুকুট’ পরা। পিএমএল-এনের অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা খাজা সাদ রফিক দলের এই অংশের নেতৃত্বে রয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে খাজা সাদ রফিক বলেন, ‘পিটিআই যেহেতু সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে, তাই তাদেরই উচিত পিপিপির সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করা। দেশের বর্তমান যে পরিস্থিতি, তাতে এই মুহূর্তে সরকার গঠনে নেতৃত্ব দেওয়ার মানে হলো নিজের মুকুটকে কাঁটা দিয়ে সজ্জিত করা এবং আমরা মনে করি, পিএমএল-এনের এমন কোনো ইচ্ছে নেই।’

খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, এসব মিলিয়ে ক্রমশ ‘নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ’ নিয়ে আলোচনা দানা বাঁধছে। আইএসআই ইমরানের সঙ্গে গোপন সমঝোতা করেছে বলেও জল্পনা তৈরি হয়েছে।

ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি : এদিকে ভোট কারচুপির প্রতিবাদে গতকাল ইমরানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) বিক্ষোভ কর্মসূচিকে ঘিরে রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। আগেই ‘এক্স’-এর একটি পোস্টে ইসলামাবাদ পুলিশ জানায়, ইসলামাবাদে টহল বাড়ানো হয়েছে এবং সব চেকপয়েন্টে চেকিং কঠোর করা হয়েছে। আরও বলা হয়, ইসলামাবাদে কাউকে বিশঙ্খলা সষ্টি করতে দেওয়া হবে না। আট বছরের কম বয়সী শিশুদের সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে এফ নাইন পার্ক এবং এফসিক্স এড়িয়ে চলতে হবে। অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচির সময় বড় ধরনের কোনো সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি। তবে পিটিআই জানিয়েছে, পুলিশ মারদানের স্থানীয় পিটিআই নেতা খালিদ জাভেদ ওয়ারিচকে বিক্ষোভে যোগ দিতে আসার সময় আটক করেছে।

 

সর্বশেষ খবর