রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

যাত্রী হয়রানি বন্ধে একক কমান্ড প্রয়োজন

কাজী ওয়াহিদুল আলম

যাত্রী হয়রানি বন্ধে একক কমান্ড প্রয়োজন

এভিয়েশন সেক্টর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন বাংলাদেশ মনিটর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম। শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি বন্ধে তিনি একক কমান্ডের তাগিদ দিয়েছেন। গতকাল তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন, কাস্টমসসহ ২৫টি এজেন্সি কাজ করছে। এ ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের লোকজন। এসব এজেন্সির লোকজন কাজ করছেন স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে। এক প্রতিষ্ঠানের লোকজন অন্য প্রতিষ্ঠানের কথায় চলবে না। তারা নিজেদের মতো করেই কাজ করে যাচ্ছে। সারা বিশ্বের কোথাও এমন ভাবে কাজ করার নজির নেই। সব দেশে একটি অথরিটির নিয়ন্ত্রণে কাজ চলছে। অর্থাৎ বিমানবন্দরে সব এজেন্সির লোকজন একটি অথরিটির নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে এমন একক অথরিটি পদ্ধতি চালু নেই। এই পদ্ধতি চালুর কোনো ইচ্ছাও দেখা যাচ্ছে না। যে কারণে যাত্রী হয়রানি বন্ধ হচ্ছে না। এ যাত্রী হয়রানি বন্ধ করতে হলে শাহজালাল বিমানবন্দরে একক অথরিটি চালু করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। একক অথরিটির কাছেই ২৫টি এজেন্সির লোকজনের দায়বন্ধ থাকবে। এতেই যাত্রী হয়রানি বন্ধ করা সম্ভব হবে। কাজী ওয়াহিদুল আলম আরও বলেন, একজন বিদেশি নাগরিক যখন বাংলাদেশে প্রবেশ করেন, প্রথম তিনি ইমিগ্রেশন পুলিশেরই মুখোমুখি হন। বিমানবন্দর যদি দেশের আয়না হয়ে থাকে, তবে ওই আয়নার প্রধান উপাদান ইমিগ্রেশন পুলিশ। অথচ এ পুলিশের আচরণ অনেক সময় বন্ধুত্বপূর্ণ হয় না। তিনি বলেন, যেহেতু পুলিশ দক্ষ নয়, তাই ইমিগ্রেশন কাজ সম্পন্ন করতে অনেক বেশি সময় লাগে। এ জন্য দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়া উচিত। পুলিশকে ট্যুরিস্ট ফ্রেন্ডলি আচরণের ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ ও হালফিল ধারণা দেওয়া উচিত।

 

সর্বশেষ খবর