মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

রাখাইন নিয়ন্ত্রণের পথে বিদ্রোহীরা

টেকনাফ সীমান্তের ওপারে ভারী বিস্ফোরণের শব্দ

প্রতিদিন ডেস্ক

বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে রাখাইনে প্রচণ্ড যুদ্ধের খবর পাওয়া গেছে। সেখানে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী দ্রুত পিছু হটছে এবং যে কোনো মুহূর্তে পুরো রাখাইন বিদ্রোহীদের দখলে চলে যাওয়ার অবস্থায় তৈরি হয়েছে। এদিকে বাংলাদেশ থেকেও সীমান্তের ওপারের ভারী বিস্ফোরণ এবং গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল দিনভর থেমে থেমে এই শব্দ শোনা গেছে।

বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত নারিনজারা নিউজের খবরে বলা হয়েছে, রাখাইন রাজ্যের যুদ্ধে চূড়ান্ত পরাজয়ের পথে রয়েছে মিয়ানমার জান্তাবাহিনী। এ ব্যাপারে গতকাল তিন সশস্ত্র গোষ্ঠীর জোট ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জান্তাবাহিনী একের পর এক সেনা ক্যাম্পের নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছোট ও বড় ক্যাম্পের সেনারা বিদ্রোহীদের কাছে খুব দ্রুতই আত্মসমর্পণ করার প্রস্তুতি নিয়েছে। যেসব ক্যাম্পের সেনারা এখনো আত্মসমর্পণ করেনি, তাদের বিরুদ্ধেই কেবল আরাকান আর্মির (এএ) যোদ্ধারা আঘাত হেনে চলছে।

ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স আরও জানিয়েছে, আরাকান আর্মির যোদ্ধাদের অগ্রসর হওয়া ঠেকাতে পিছু হটার সময় জান্তাবাহিনী পথে পথে চলার পথ ধ্বংস করে দিচ্ছে। তারা কয়েকটি ব্রিজও ধ্বংস করেছে। যেমন গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মাইন হামলার মাধ্যমে তাংগুপ শহরের কাছে অবস্থিত মা ই সেতু ধ্বংস করে দেয় জান্তাবাহিনী। পরের দিন আরও দুটি সেতু উড়িয়ে দেয়। মা ই সেতু ধ্বংস করতে যে মাইন ব্যবহার করা হয়, সেটি বিস্ফোরিত হয়ে স্থানীয় একটি স্কুলসহ আরও কয়েকটি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারি সেনারা রাখাইনের রাজধানী সিত্তেতে প্রবেশের মিন চং (আকা) আহ মিয়ান্ত কায়ুন সেতু ধ্বংস করে দেয়, জোট সিত্তে-ইয়াঙ্গুন মহাসড়কের কাছে অবস্থিত। ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স জানায়, নিজেদের রক্ষায় জান্তাবাহিনী যেসব সেতু ধ্বংস করছে সেগুলো সাধারণ মানুষ এবং পণ্য পরিবহনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

মিয়ানমারের তিন সামরিক অফিসারের ফাঁসি : মিয়ানমারের জান্তা উচ্চপদস্থ তিন সামরিক কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। তারা গত মাসে চীন সীমান্তের একটি কৌশলগত শহর আত্মসমর্পণের তত্ত্বাবধানে ছিলেন বলে সামরিক একটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে। জানা গেছে, কয়েক মাস লড়াইয়ের পর গেল জানুয়ারিতে শত শত সৈন্য অস্ত্র জমা দিয়ে শান রাজ্যের লাউকাই শহরটি থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের কাছে হস্তান্তর করে। লড়াইয়ে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী অনেক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারায়। এসব কারণেই তিন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর