বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষা হবে কবে

বাংলাদেশ প্রতিদিনকে যা বললেন মুখপাত্র

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষা হবে কবে

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভাষা এবং সংস্কৃতির বৈচিত্র্য খুবই প্রয়োজনীয় এবং তা ঘিরেই আমাদের বহুমুখী কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। তবে জাতিসংঘের ৬টি দাফতরিক ভাষার সঙ্গে সপ্তম কথ্যভাষা হিসেবে বাংলাকে যোগ করার ব্যাপারটি একান্তভাবেই সাধারণ অধিবেশনের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। অন্তত আমি সেটি মনে করছি। জাতিসংঘের স্থায়ী সংবাদদাতা বাংলাদেশ প্রতিদিনের লাবলু আনসারের প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মূল অনুপ্রেরণা হিসেবে জাতিসংঘের সদর দফতর প্রাঙ্গণে শহীদ মিনার বা স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কোনো সম্ভাবনা আছে কি? লাবলু আনসারের আরেক প্রশ্নে মহাসচিবের মুখপাত্র ডুজারিক জানান, ‘যে কোনো ধরনের স্মৃতিস্তম্ভ বা শহীদ মিনার নির্মাণের জন্যে জাতিসংঘে একটি প্রক্রিয়া রয়েছে। যেটি শুরু হতে হয় সদস্য রাষ্ট্রের স্থায়ী মিশন থেকে।’ অর্থাৎ এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মিশনকে প্রস্তাব উপস্থাপন করতে হবে। তবে বাংলাকে জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষায় পরিণত করার আহ্বানটি অনেক আগেই (স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে এ মোমেন) বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে উপস্থাপিত হয়েছে। আর্থিক অজুহাতে সেটি পাস হতে পারেনি বলে সে সময় জানানো হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন মহল থেকে উদ্বেগ রয়েছে যে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান সংঘর্ষ বাংলাদেশ ও ভারতের জন্যও বিপজ্জনক হয়ে পড়ছে এবং তা রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটকেও নিরাপত্তা ঝুঁকিতে নিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে জাতিসংঘের সর্বশেষ অবস্থান কী? বাংলাদেশ প্রতিদিনের এ প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন ডুজারিক ইস্যুটি মিয়ানমার এবং ভারতের মধ্যেকার কি না জানতে চাইলে প্রশ্নকর্তা জানান, মিয়ানমার সামরিক জান্তার সঙ্গে মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের। এরপর ডুজারিক বলেন, মিয়ানমারের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আমরাও বিচলিত এবং উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে অতি সম্প্রতি মিয়ানমার সামরিক জান্তার লেলিয়ে দেওয়া বিমান বাহিনীর স্কুলে হামলার ঘটনাটি সত্যি দুঃখজনক।

এহেন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তামূলক কার্যক্রমকেও আমরা সীমিত করতে বাধ্য হয়েছি। তাই আমরা সর্বত্র আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছি পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ অবসানের লক্ষ্যে।

সর্বশেষ খবর