শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

পরিবেশ অধিদফতর পরিচালক ও স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

পরিবেশ অধিদফতর পরিচালক ও স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু

পরিবেশ অধিদফতরের (ঢাকা অঞ্চল) পরিচালক সৈয়দ নজমুল আহসান (৫৬) ও তার স্ত্রী নাহিদ বিনতে আলমের (৪৮) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

গতকাল নাহিদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে, বুধবার বিকালে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান সৈয়দ নজমুল আহসান। হাসপাতালের সূত্র বলছে, অতিরিক্ত মদপানে তাদের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ বলছে, মৃত্যুর সনদে অ্যালকোহল পয়জনিং লেখা ছিল। প্রাথমিকভাবে তারা বাসায় মদপান করেছিলেন জানা গেছে। তবে বিষয়টি তদন্ত ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর আরও বিস্তারিত জানা যাবে। সৈয়দ নজমুল আহসানের মৃত্যুতে দেওয়া পৃথক শোকবার্তায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। মৃত্যুর বিষয়ে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সী ছাব্বীর আহম্মদ জানান, বুধবার মিরপুর-২ অফিসার্স কমপ্লেক্সের বাসায় স্বামী-স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের লোকজন নজমুল আহসানকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। একই সময় তার অসুস্থ স্ত্রী নাহিদ বিনতে আলমকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে দুজনের লাশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। তাদের কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে সঠিক তথ্য জানা যাবে। তাদের পরিবার যদি অভিযোগ করে তবে তদন্ত করে দেখা হবে। জানা গেছে, নিহত দম্পতি দুই কন্যাসন্তান রেখে গেছেন। তাদের মধ্যে একজন এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। সৈয়দ নাজমুল আহসান ১৯৯৬ সালে গবেষণা কর্মকর্তা হিসেবে পরিবেশ অধিদফতরে যোগ দেন। ২০১৭ সালে তিনি পদোন্নতি পেয়ে পরিচালক হন। তার গ্রামের বাড়ি মাগুরা সদরে। এদিকে নজমুল আহসানের ভাই সৈয়দ আবু জাফর জানান, তার ভাইয়ের মৃত্যুতে মিরপুর মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। নজমুলের স্ত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকেও মামলার প্রস্তুতি চলছে। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে মিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ মো. কামরুজ্জামান বলেন, ফুড পয়জনিং থেকে বা অন্য কোনো কারণে তাদের মৃত্যু হতে পারে। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. শফিউর রহমান বলেন, সৈয়দ নাজমুল আহসানকে হাসপালাতে আনার পরপরই চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আগেই মারা গিয়েছিলেন। এর চেয়ে বেশি কিছু জানি না। আর বিএসএমএমইউ হাসপাতালে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রেজাউর রহমান বলেন, আমি নাহিদ বিনতে আলমের মৃত্যুর খবর শুনেছি। তবে কী কারণে মারা গেছেন তা জানতে পারিনি। পরিবেশ অধিদফতরের একজন কর্মকর্তা বলেন, নাজমুল আহসানের ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ হয়েছে। তার স্ত্রীর কী হয়েছে জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা আর কোনো কথা বলেননি।

 

সর্বশেষ খবর