শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

শান্ত সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা নয়জনকে পুশব্যাক

কক্সবাজার প্রতিনিধি

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান সংঘাতের রেশ বাংলাদেশ সীমান্তে কমে এসেছে। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সীমান্তবাসীর মধ্যে। তবে মিয়ানমার থেকে নাফ নদে পাড়ি দিয়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটের নাফ নদের মোহনা দিয়ে নৌকায় করে নয়জন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে বিজিবির তৎপরতায় তারা মিয়ানমারে ফেরত যেতে বাধ্য হয়। টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান সংঘাতের রেশ বাংলাদেশ সীমান্তে কমে এসেছে। গত সোমবার দিনভর থেমে থেমে বিকট বিস্ফোরণের আওয়াজ এলেও সন্ধ্যার পর থেকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত এমন শব্দ আর শোনা যায়নি। টানা তিন দিন সীমান্তের লোকজন স্বস্তিতে রয়েছেন। এরই মধ্যে গতকাল সকালে নৌকায় করে নয়জন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। বিজিবি তাদের অনুপ্রবেশ করতে দেয়নি। নাফ নদের শূন্য রেখা পর্যন্ত এসে তারা মিয়ানমার ফেরত যেতে বাধ্য হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে আর একজন রোহিঙ্গাকেও অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে বিজিবি, কোস্টগার্ড ও পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে।

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবদুস সালাম বলেন, গেল কয়েকদিন আগে মিয়ানমারের ওপারে ব্যাপক গোলাগুলি ও মর্টার শেলের বিকট শব্দে কেঁপে উঠছিল টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা। গেল দু-তিন দিন ওপার থেকে কোনো গুলির শব্দ আমরা পাইনি। তবে অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে বলে শোনা যাচ্ছে। গতকাল সকালে একটি নৌকায় করে নয়জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। বিজিবি তাদের ফেরত পাঠায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী চৌকিগুলো বিদ্রোহীদের দখলে যাওয়ায় জান্তা বাহিনীর সদস্যরা মংডুর দিকে পালিয়েছে। আর বিদ্রোহীরা এদিকে দখলে নিয়ে মংডুর দিকে ছুটছে। এতে সীমান্ত থেকে সংঘর্ষ দূরে সরে গেছে বলেই গোলাগুলির শব্দ কমেছে। তবে সংঘর্ষ এখনো থামেনি। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত স্বজনদের বরাত দিয়ে ক্যাম্পে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা এমন তথ্য দিয়েছে। তারা বলছেন, এখন মূলত মংডু শহরের আশপাশের এলাকায় লড়াই হচ্ছে। এ কারণেই সীমান্ত বরাবর গোলাগুলির তীব্রতা কমে এসেছে।

সর্বশেষ খবর