শিরোনাম
বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

চট্টগ্রাম বন্দরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রবেশদ্বার হবে ত্রিপুরা : মানিক সাহা

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

চট্টগ্রাম বন্দরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রবেশদ্বার হবে ত্রিপুরা : মানিক সাহা

উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য ত্রিপুরা কেবল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গেটওয়েই নয়, বরং বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে অনেক দেশের কাছেই এ রাজ্য গেটওয়ে হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে বলে আশাবাদী ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত মৈত্রী সেতু উদ্বোধন করা হয়েছে এবং যে কোনো সময় সেতু দিয়ে মানুষের চলাচল শুরু হবে। সেতুটি চালু হলেই চট্টগ্রাম বন্দরে সরাসরি প্রবেশাধিকার পাবে ত্রিপুরা। ঢাকা ইতোমধ্যে ভারতকে দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুম মহকুমার মাধ্যমে তার চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে ব্যবসাবাণিজ্যের নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হবে। সোমবার আগরতলা রেলস্টেশনের পুনরুন্নয়নের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ দিনই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশজুড়ে ৫৫৪টি রেলস্টেশনের পুনরুন্নয়নের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনসহ একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। যার মধ্যে ছিল আগরতলা রেলস্টেশনও। মানিক সাহা বলেন, কেবল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোই নয়, চট্টগ্রাম বন্দর ও বঙ্গোপসাগর ব্যবহার করে ত্রিপুরার কাছে অনেক দেশের দরজাই খুলে যাবে। সে অর্থে প্রস্তাবিত এ কানেকটিভিটি থেকে সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতই উপকৃত হবে। বাংলাদেশের গঙ্গাসাগর রেলস্টেশনের সঙ্গে আগরতলা রেলস্টেশনের সংযোগকারী ইন্দো-বাংলা রেলওয়ে প্রকল্পের কথা তুলে ধরে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গঙ্গাসাগর ও আগরতলার মধ্যে রেলের ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়েছে। এতেও রাজ্যের মানুষ অনেক উপকৃত হবে। অন্যদিকে আগরতলা থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত ভারত-বাংলাদেশ রেলসংযোগ চালু হলে তা এ অঞ্চলের ক্ষেত্রে একটি গেমচেঞ্জার হবে বলে মনে করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। তিনি বলেন, আগরতলা থেকে বাংলাদেশ হয়ে কলকাতা পর্যন্ত ৩২ ঘণ্টার ট্রেনযাত্রা মাত্র ১০ ঘণ্টার মধ্যে শেষ হবে। যেটা উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোয় বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।

সর্বশেষ খবর